ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর : নির্মোহ দৃষ্টিতে
- মো: হারুন-অর-রশিদ
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১০
আমরা বর্তমানে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভ‚খণ্ডে বসবাস করছি। আর এই স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বহু বছরের বহু ইতিহাস। বহু রাজন্যবর্গ শাসন করেছেন এই ভূখণ্ড। শাসন করেছেন হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমান শাসকরা। আর্য, পাল, সেন, মোগল, পাঠান, পর্তুগিজ, ফরাসি, আরব, পারসিয়ান, ইংরেজ এবং পরিশেষে পাকিস্তানি শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ইতিহাসের পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আমাদের সামনে রচিত হয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসেও এমন অনেক দিন সৃষ্টি হয়েছে যে দিনগুলোর গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি। ৭ নভেম্বর তার মধ্যে অন্যতম। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন মেজর জিয়াউর রহমান। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন। তৃতীয় যে দিনটি জাতীয় ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে তা হচ্ছে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সাল। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং আধিপত্যবাদের বেড়াজাল থেকে মুক্ত স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার দিন।
যে চেতনা নিয়ে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এবং নয় মাস যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, মা-বোনেরা ইজ্জত-সম্ভ্রম হারিয়েছে, দেশ স্বাধীনের পর শেখ মুজিবের শাসনামলে তার সব কিছুই বিসর্জিত হয়েছিল। যে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্য ও মানবাধিকারের বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, শেখ মুজিব তার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছিলেন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মানসে। তিনি গণতন্ত্রকে হরণ করলেন, সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেন, প্রতিষ্ঠা করলেন একদলীয় ‘বাকশাল’। চুরি, ডাকাতি, হত্যা, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি এবং চোরাকারবারের এক নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল শেখ মুজিবের শাসনামল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে নেমে এসেছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। এই দুর্ভিক্ষের করুণ চিত্র শেখ মুজিবের ভাবমর্যাদাকে বিশেষভাবে বিবর্ণ করেছিল। এক দিকে মানুষ ক্ষুধার্ত অন্য দিকে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। ফলে মানুষের মনে শেখ মুজিবের প্রতি বাড়তে থাকে ক্রমবর্ধমান বিরূপতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৫ সালে ঘটেছিল অনেকগুলো ঘটনা। প্রথমে ঘটেছিল বাকশালবিরোধী সামরিক অভ্যুত্থান। তারপর ঘটে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের বাকশালপন্থী পাল্টা অভ্যুত্থান। এরপর ঘটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের ঘটনা। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে যে অনিশ্চয়তা, শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল, তার অবসান হয়েছিল ৭ নভেম্বর। ৭ নভেম্বরের মূল চরিত্র তিনজন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান, সাবেক ক্ষণস্থায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল খালেদ মোশাররফ এবং জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহের। তিনজনই সামরিক কর্মকর্তা। আপাতদৃষ্টিতে ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহকে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মনে হতে পারে। এটা ঠিক, সঙ্কটের শুরু জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। তবে, সব ঘটনার পেছনের ইতিহাস শুরু হয় শেখ মুজিবের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।
১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ওই দিনই রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮১ দিন। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একটি অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ৩ নভেম্বর যখন খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, তার প্রাথমিক পর্বেই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে চিফ অব আর্মি স্টাফের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং তাকে গৃহবন্দী করা হয়। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা দখল করার সাথে সাথেই সাফাত জামিলের নেতৃত্বে ঢাকা ব্রিগেডের সহায়তায় ৩ নভেম্বর রাতে বেতার ও টেলিভিশনসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং খালেদ মোশাররফ নিজে সামরিক বাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদে উন্নীত হন। কিন্তু মাত্র তিন দিন পরে ৭ নভেম্বর তারিখে তিনি সিপাহি জনতার পাল্টা অভ্যুত্থানে নিহত হন। সিপাহি জনতা জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী থেকে মুক্ত করে আনেন। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমান ছাত্র-জনতা সৈনিকদের কাছে আবিভর্‚ত হলেন এক ত্রাতারূপে, তাদের আশা আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীকরূপে অনেকটা শেষ ভরসার মতই। সিপাহি-জনতার দাবির মুখে এবং সময়ের প্রয়োজনেই জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসতে হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে জেনারেল জিয়া ক্ষমতাসীন হন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। ৩ নভেম্বরের বিপ্লবে তিনি নিহত হতে পারতেন। কোনো পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় আসেননি। তিনি ক্ষমতাসীন হলেন বিপ্লবের সদর দরজা দিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থান এবং ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা পূরণের জন্যই তাকে ক্ষমতাসীন হতে হয়, শুধু জাতীয় স্বার্থে, জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে।
৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব কেন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল তার পেছনের ইতিহাসের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশাসনিক অদক্ষতাই দায়ী। তিনি নিজ দলের লোকদের অন্যায়-অত্যাচারের বিচার না করে, গণতন্ত্র বিলুপ্ত করলেন। কায়েম করলেন একদলীয় বাকশাল। ঘটল ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর চার নেতাকে জেলের মধ্যে হত্যা করার মতো ঘটনা। ৩ নভেম্বর (১৯৭৫) ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ যে অভ্যুত্থান ঘটান তা মুজিববাদী ও মস্কোপন্থীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমর্থিত হলেও সিপাহি-জনতা তা গ্রহণ করেননি। কারণ, কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীতে জাসদপন্থী সিপাহিদের খালেদ মোশাররফদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভ্যুত্থানের জন্য সঙ্ঘবদ্ধ চেষ্টা চালাতে থাকেন। কর্নেল তাহেরের ইচ্ছা ছিল সামরিক বাহিনীর পেটি অফিসার, সিপাহি এবং সাধারণ জনগণ মিলে খালেদ মোশাররফের বিরুদ্ধে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জাসদকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যাওয়া। এই লক্ষ্যে তিনি সেনাবাহিনীতে ‘শ্রেণী সংগ্রাম ও বিপ্লবের’ মন্ত্র ছড়িয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর ফলে বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের পক্ষ থেকে ৪ নভেম্বর নানা দাবির স্লোগান তুলে পোস্টার ছড়ানো হয়। ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে সিপাহি-জনতা মিলে বিপ্লব সৃষ্টি করেছিল।
১২ দফার প্রথম দফাতেই লেখা ছিল, ‘আমাদের বিপ্লব শুধু নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য নয়। এই বিপ্লব হলো দরিদ্র শ্রেণীর দারিদ্র্য মুক্তির লক্ষ্যে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ধনিক শ্রেণীর সৈনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছি। ধনিক শ্রেণী আমাদের ব্যবহার করেছে তাদেরই স্বার্থে।’ তৃতীয় দফায় বলা হয়েছিল, সব দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা ও ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হোক অবিলম্বে এবং বিদেশী ব্যাংকে তাদের গচ্ছিত সম্পদ দেশে ফিরিয়ে এনে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে বিনিয়োগ করা হোক। চতুর্থ দফায় সুপারিশ করা হয়েছিল কর্মকর্তা এবং সাধারণ সৈনিকের মধ্যে সব পার্থক্য মুছে ফেলে প্রত্যেকের কাজ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতন নির্ধারণ করা হোক। নয় ও দশ দফায় দেশময় বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়। এসব সংস্থাই সামরিক বাহিনীর মূলনীতিসহ দেশের প্রতিরক্ষা নীতিনির্ধারণ করবে।’ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত পোস্টার সিপাহিদের আকৃষ্ট এবং উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট থেকে হাজার হাজার সিপাহি খালেদ মোশাররফকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ঢাকামুখী হয়। সিপাহিরা স্লোগান তুলেছিল- ‘সিপাহি সিপাহি ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই।’ ৬ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সাধারণ সেনারা অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান। এমনকি তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে বিশৃঙ্খলভাবে গুলি করতে শুরু করে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণভার সাধারণ সিপাহিদের হাতে চলে যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সিপাহিদের সঙ্গে যোগদান করে অন্যান্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে আগত সিপাহিরা।
পরবর্তীতে সিপাহি জনতার বিরাট অংশ এবং সাধারণ জনতা মিলে রাতেই ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। তারা স্লোগান দেয় ‘সিপাহি বিপ্লব জিন্দাবাদ, জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ।’ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ ৭ নভেম্বরের ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে পরাধীনতার পরিসমাপ্তি হিসাব করে এনায়েতুল্লা খান সম্পাদিত পত্রিকা বাংলাদেশ টাইমস শিরোনাম দেয়Ñ ‘বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম’।
এখানে যে বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার তা হলো, জাসদ বা তাহেরের পক্ষে এককভাবে কোনো ধরনের অভ্যুত্থান সংগঠনের সক্ষমতা ছিল না। কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের ব্যবহার করে ক্ষমতার কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান জাসদের এই খেলার শেষ অঙ্কে উপস্থিত হয়ে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে শেষ পর্যন্ত কর্নেল তাহের আর টিকতে পারেননি। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে জাসদের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে পেছনের দরজার বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে জাসদ বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি।
পরিশেষে যে কথাটি বলতে চাই তা হলো, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের পরাস্ত করার অভ্যুত্থান। শুধু তাই নয়; এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেমন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেয়েছিল তেমনি জিয়াউর রহমানের মতো একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়কের জন্ম হয়েছে। যিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে জাতিকে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছিলেন, যখন রাজনৈতিক নেতারা হয় পালিয়ে গিয়েছিলেন নতুবা ব্যর্থ হয়েছিলেন। আবারো ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক শূন্যতার এক মহাসঙ্কটকালে সিপাহি-জনতার দাবির মুখে তাকে রাষ্ট্রের হাল ধরতে হয়েছিল। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার ফলে দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি, এমনকি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক বিপ্লাবাত্মক ভাব ফুটে উঠেছিল। এই সময় বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতি এক বৈপ্লবিক মোড় নেয় যা বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে নিয়ে আসে নতুন এক চিরশক্তি যার প্রভাব জাতীয় জীবনের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে আজও চিরঞ্জীব হয়ে আছে।
লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা