গণ-অভ্যুত্থানের পর সংখ্যালঘুরা
- আবদুর রহমান
- ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫৯
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে তার সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। কিন্তু স্বৈরাচার সমর্থকদের মতো দেশের সংখ্যালঘুদের অনেকে ছাত্র-জনতার এই বিজয় মেনে নিতে পারেনি। তাদের আচরণ ও বক্তব্য থেকে তেমনই প্রতীয়মান হয়। হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অত্যাচারী নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে- তারা মুসলমান বা হিন্দু যাই হোক। এটিকে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নিপীড়নের দাবি করে ফেসবুকে প্রচার ও শাহবাগে মিছিল করে বাংলাদেশের হিন্দুরা। এভাবে তারা ভারতের সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে মারাত্মক অস্ত্র তুলে দেয়। আর তিনি উপর্যুপরি বাংলাদেশের এক কোটি হিন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অথচ নিজ দেশের ২০ কোটি মুসলমান নাগরিকের জন্য তার কোনো উদ্বেগ নেই। মনিপুরে গত এক বছর ধরে জাতিগত সঙ্ঘাত চললেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মোদি। সেই প্রধানমন্ত্রীর কি অন্য রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া সাজে?
নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তাকে অভিনন্দন জানালেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা অভিনন্দন জানাননি। বরং প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের আশ^স্ত করেছেন।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারাও গত সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরাচারের সাথে সুর মিলিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংখ্যাগুরু জনগণকে পাকিস্তানের দালাল বলে অভিহিত করে আসছিলেন।
ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংকে ২০১৩ সালে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের মিশনে ঢাকায় পাঠিয়ে ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বচনের মাধ্যমে সংসদের ৩০০ আসন স্বৈরাচারের দখলে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
জনগণ ভোটাধিকারবঞ্চিত হলেও ঐক্য পরিষদের নেতারাও গণভবনে গিয়ে নির্বাচনে সফলতার জন্য স্বৈরাচারকে অভিনন্দন জানান। আবার ২০১৮ সালের নৈশবোটের নির্বাচনের পরও তাঁবেদার গোষ্ঠীর মতো ঐক্য পরিষদের নেতারাও গণভবনে গিয়ে নির্বাচনের সাফল্যের জন্য স্বৈরাচারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় সংখ্যাগুরুদের আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও দলীয় ক্যাডারদের মতো সংখ্যালঘুদের উৎফুল্ল- দেখাচ্ছিল। ভোটডাকাতির মাধ্যমে বিএনপির অন্যান্য প্রার্থীর মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নিতাই রায় চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্তী, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও মিল্টন বৈদ্য প্রমুখ প্রার্থীকে পরাজিত করা হলেও তার কোনো প্রতিবাদ জানাননি ঐক্য পরিষদের নেতারা। কারণ সংখ্যালঘু যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে না, ঐক্য পরিষদের নেতারা তাদেরকে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ভুক্ত মনে করেন না। তিনি প্রধান বিচারপতি হলেও না। অধঃস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ারে থাকবে বলে মাজদার হোসেনের রিটের রায় হয়েছিল। কিন্তু সরকার তা আইন মন্ত্রণালয়ের তথা স্বৈরাচারের এখতিয়ারে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সাথে সরকারের মতবিরোধ দেখা দেয়ায় স্বৈরাচার প্রধান বিচারপতিকে পদ থেকে অপসারণের লক্ষ্যে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের এখতিয়ার থেকে সংসদ তথা সংসদ নেতা স্বৈরাচারের এখতিয়ারে নিয়েছিলেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে। এই সংশোধনী বাতিল চেয়ে রিট হলে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মত রায়ে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্বের ওপর মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ স্বৈরাচারের নির্দেশে সরকারি দল প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন শুরু করে দেয়। এ সময় প্রধান বিচারপতি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভের আশায় ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শীতল অভ্যর্থনা পান। নিরাশ হয়ে ফিরে এসে ২৯ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের অফিসে গিয়ে ভিসা সংগ্রহ করেন। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচারের পেটোয়া পুলিশবাহিনী প্রধান বিচারপতিকে এক কাপড়ে বাসা ত্যাগ করতে বাধ্য করে বিমানে তুলে দেয়। বিএনপি সরকার যদি সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ভুক্ত কোনো বিচারপতির সাথে অনুরূপ আচরণ করত তাহলে ঐক্য পরিষদ আওয়ামী লীগের সাথে মিলে আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটিয়ে ছাড়ত।
স্বৈরাচারের মতো ঐক্য পরিষদের নেতারাও দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছিলেন। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা/প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে মর্মে ২০২৩ সালের ২৫ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল। ওই ভিসানীতির প্রতিবাদে স্বৈরাচার যেমন সরব ছিল, তেমনি বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় মুখর ছিল। ঐক্য পরিষদের নেতারাও এর প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল করে ক্ষান্ত হননি, তারা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করে নির্বাচনকালীন তাদের নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যেমন প্রণব মুখার্জি সেনাপ্রধান জেনারেল মইনকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, তেমনি নরেন্দ্র মোদির সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করে স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় রেখে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করতে স্বৈরাচারকে সহায়তা করা হয়েছিল।
স্বৈরাচার ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলের বিদ্রোহী ও ডামি প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করে দেয়া সত্ত্বেও সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। সংখ্যালঘু স¤প্রদায় দলীয় ক্যাডারদের সাথে মিলে ভোট দেয়ায় ভোট পড়ার হার ১৪.৮ শতাংশে উন্নীত হয়। স্বৈরাচারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন যেটি ৪১.৮ শতাংশ দেখিয়েছিল। নির্বাচনের পর ঐক্য পরিষদের নেতারাও গণভবনে গিয়ে বিজয়ের জন্য স্বৈরাচারকে অভিনন্দন জানান। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট পড়ার এই নিম্নহার ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিরো আওয়ারের ভোটডাকাতি প্রমাণিত হয়েছিল। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অসীম কুমার উকিল নেত্রকোনা-৩ আসন থেকে অনেক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পাওয়ায় আড়াই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি মাত্র ৫০ হাজার ভোট পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সর্বত্র অনুরূপ ভোটডাকাতি হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাস্টিং ভোটের ৭৪.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তারা যদি তাদের সত্যিকারের ভোটার হতো তাহলে স্বৈরাচারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তারা ভোটকেন্দ্রে গেলে নির্বাচন কমিশনকে প্রতারণার আশ্রয় নিতে হতো না।
বাঙালি মুসলমানরা চিরকালই অসাম্প্রদায়িক, যে কারণে ১৯৪৭ সালের আগে কলকাতার বাবুরা বলতেন, মুলমানরা আবার বাঙালি হয় কিভাবে। ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তানিরা বলতেন, বাঙালি কখনো মুসলমান হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের বাবুদের কথার সাথে পাকিস্তানিদের কথার মিল, কারণ উভয়েই সাম্প্রদায়িক মনোভাবসম্পন্ন। ঐক্য পরিষদের নেতারা সংখ্যালঘুদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ অহরহ করেন, যার মধ্যে সত্যতার লেশমাত্র নেই। সরকারি চাকরিবাকরিসহ ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা প্রাপ্য হিস্যার চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন ১৯৭২ সাল থেকে। পাকিস্তান আমলে হিন্দুদের সাথে বাঙালি মুসলমানরাও বঞ্চিত হয়েছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রাপ্যের চেয়েও বেশিসংখ্যক নিয়োগ পাওয়া প্রসঙ্গে ঐক্য পরিষদের নেতা রানাদাস গুপ্তের মন্তব্য হচ্ছে, সংখ্যালঘুরা যোগ্যতাবলে বেশিসংখ্যক নিয়োগ পেয়েছে। তবে কি সংখ্যাগুরুরা কম যোগ্যতাসম্পন্ন? গত জুলাই মাসে পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ইসলাম ধর্মের ক্লাস হিন্দু শিক্ষককে নিতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের তদবিরে এরূপ পদায়ন হওয়ায় তাদের একজনকে বদলি করে একজন মুসলমান শিক্ষককে পদায়নের ক্ষমতা উপজেলা/জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ছিল না। ঢাকা শহরের একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রধান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হওয়ায় ওই বিভাগের চারজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যার তিনজনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও নিয়োগবোর্ড তা মেনে নিয়েছে। ওই বিভাগীয় প্রধান ২০ জুলাই কারফিউয়ের মধ্যে ২৮ জন ছাত্রীকে অমানবিকভাবে হলত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। ভিসি না হয়েও স্বৈরাচারের আহূত ভিসিদের সভায় তিনিও গিয়েছিলেন।
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের দুঃখ যেমন আওয়ামী লীগ ভুলতে পারছে না, তেমনি ঐক্য পরিষদের নেতারাও ভুলতে পারছেন না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, হোক সে মুসলমান বা হিন্দু- গত ১৫ বছর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীসহ জনগণকে নিপীড়নে কেউ পিছিয়ে ছিল না। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় অনেকেই বাড়িতে আলিশান বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। তারাই আন্দোলন দমনে পুলিশের সহযোগী আওয়ামী হেলমেট বাহিনীর সদস্য হিসেবে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে শত শত সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও নিরীহ মানুষকে হত ও আহত করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের মিছিল করে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার থাকলেও ভারতের সংখ্যালঘুদের সেই অধিকার নেই। বাংলাদেশের কোনো সরকারের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেয়ার নজির না থাকলেও ভারতে তার ভূরিভূরি নজির রয়েছে। অতিসম্প্রতি আসামে বিজেপির রাজ্য সরকার কয়েক শ’ মুসলমানের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার দখলে মোদির নির্বাচনী অভিযান ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের পছন্দনীয় শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখার অভিযান সফল হয়েছিল। যা ছিল বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর। ভারতের মুসলমানদের সংখ্যা ১৮-২০ শতাংশ হলেও চাকরিবাকরিতে তাদের হিস্যা মাত্র ১-২ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের ২৮ শতাংশ মুসলমান হলেও চাকরিবাকরিতে কংগ্রেসের সময় তাদের হিস্যা ছিল ২ শতাংশ, বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে তা ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল মমতা ব্যানার্জির ১৩ বছরের শাসনামলে তা ৬ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের বিষয়টি বিজেপি নির্বাচনী ইস্যু করেছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের গত সাড়ে ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড জেনারেল এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ডের সাথে তুলনীয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য তারা অনুতাপ করবে- এটিই জনগণ আশা করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা