পশ্চিম আফ্রিকার জন্য ‘প্ল্যান বি’ খুঁজছে মার্কিন সামরিক বাহিনী
নাইজার থেকে বহিষ্কার ওয়াশিংটনের জন্য বিপত্তি- রয়টার্স
- ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল আফ্রিকায় বিরল সফর করছেন পশ্চিম আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছুটা উপস্থিতি বজায় রাখার উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য। নাইজার সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ওয়াশিংটনের জন্য একটি বিপত্তি। এরপর আফ্রিকায় এ সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর জেনারেল সি কিউ ব্রাউন।
সোমবার আফ্রিকান প্রতিরক্ষা প্রধানদের এক সমাবেশে যোগদান করার উদ্দেশ্যে বতসোয়ানায় অবতরণের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তিনি এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি অংশীদারের সাথে কথা বলতে চলেছেন। তিনি বলেন, আমি কিছু সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিম আফ্রিকায় এমন কিছু দেশ আছে যাদের সাথে আমরা ইতোমধ্যেই কাজ করছি’।
তিনি আরো বলেন, এই সম্পর্ক গড়ে তোলার ফলে ‘আমরা আমাদের জন্য নাইজারে যে সামর্থ্য ছিল তা অন্য কিছু জায়গায় তুলে ধরার সুযোগ পেতে পারি’।
কোন দেশগুলো বিবেচনাধীন, তা বলতে অস্বীকার করেন ব্রাউন। তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বেনিন, আইভরি কোস্ট ও ঘানার সাথে প্রাথমিক অলোচনা করেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী শিগগিরই তাদের শক্তিশালী কাউন্টার-টেররিজম ইউনিট নাইজারের পরিবর্তে অন্য কোথাও জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায় না। বিশেষ করে, মার্কিন বাহিনীকে সেখান থেকে বিদায় করে দেয়ার মানে হলো নাইজারের আগাদেজের কাছে তৈরি করা এয়ার বাস ২০১ হারানো। এটি নির্মাণ করতে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করেছিল।
গত বছর নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত মার্কিন ঘাঁটিটি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজারের যৌথ লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই বিদ্রোহীরা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং আরো লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের বিদ্রোহী কর্মকণ্ডের কারণে।
রাজনৈতিক উত্থান
পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার পরিবর্তিত রাজনৈতিক দৃশ্যপট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উভয় সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাইজার ও তার প্রতিবেশী বুর্কিনা ফাসো ও মালিসহ এই অঞ্চলটি চার বছরে আটটি অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে। জান্তারা এখন সেই দেশগুলোর অনেকগুলোই শাসন করছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে কাজ করতে কম ইচ্ছুক। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলোকে সমর্থন করতে আইনত বাধা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর। এই ধরনের কোনো বাধার সম্মুখীন যেনো না হতে হয় তাই তারা রাশিয়ার দিকে বেশি করে ঝুঁকছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা