১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে চাপা পড়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ

পাপুয়া নিউগিনির পার্বত্য অঞ্চল ইয়াম্বালিতে ভূমিধসের ঘটনায় গ্রামবাসী অনুসন্ধান করছেন : ইন্টারনেট -


পাপুয়া নিউগিনির ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন্ত চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বিপদের ঝুঁকিতে ভরা বন্ধুর ভূমিরূপের কারণে এলাকাটিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে আছে, এতে জীবিতদের খুঁজে না পাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র সম্ভাব্য চাপা পড়া মানুষের সংখ্যা ২০০০ বলে জাতিসঙ্ঘকে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে। চিঠিটি সোমবার প্রকাশিত হলেও তাতে রোববারের তারিখ দেয়া আছে। জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) সম্ভাব্য মৃতের সংখ্যা আরো অনেক কম, ৬৭০ জনের মতো হতে পারে বলে জানিয়েছিল। এসব ভিন্নতায় এলাকাটির দূরবর্তিতা ও সেখানকার প্রকৃত জনসংখ্যার হিসাব পাওয়ার জটিলতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। পাপুয়া নিউগিনির শেষ বিশ্বাসযোগ্য আদমশুমারি অনুযায়ী, ওই এলাকার বিচ্ছিন্ন পার্বত্য গ্রামগুলোতে অনেক মানুষ বসবাস করে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। তখন ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভূমিধসে ইয়াম্বলি গ্রামটি পুরোপুরি চাপা পড়েছে। এখানে প্রায় দোতালা সমান উঁচু মাটি ও আবর্জনার নিচে ১৫০টিরও বেশি বাড়ি চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মাটির নিচে থেকে আসা আর্তনাদের আওয়াজ পেয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এভিট কাম্বু রয়টার্সকে বলেন, ‘যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি এখানে এই মাটি ও আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে আছে আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য আর এই গ্রামের আরো বহু পরিবারের সদস্যরা, আমি গুনতে পারছি না। আমি এসব লাশ তুলতে পারছি না তাই অসহায়ের মতো এখানে দাঁড়িয়ে আছি।’

ঘটনার পর তিন দিন পেছে; কিন্তু এখনো কোদাল, লাঠি ও খালি হাতে উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবেই রাশি রাশি মাটি ও আবর্জনা সরিয়ে জীবিতদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধার প্রচেষ্টায় নিয়োজিতরা। এ পরিস্থিতির মধ্যেই কাছেই দুই স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর ভেতরে লড়াই চলছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সেনা পাহারায় একটি বহরে থাকা উদ্ধারকারীদের দল তাদের ভারী যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে প্রাদেশিক রাজধানীতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব লড়াইয়ে শনিবার আটজন নিহত হয়েছেন ও ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার ধোঁয়া উঠতে থাকা ওইসব বাড়ির পাশ দিয়ে ত্রাণবাহী একটি গাড়িবহর পার হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে ঘটনাস্থলে প্রথম এক্সকাভেটর পৌঁছতে সক্ষম হয়। তারপর থেকে মাত্র ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে এক জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল