১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতের অস্ত্র সংগ্রহের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘে পাকিস্তানের অভিযোগ

-

ভারতের অস্ত্র সংগ্রহ ও সামরিক শত্রুতা নিয়ে জাতিসঙ্ঘে অভিযোগ জানিয়েছে পাকিস্তান। জাতিসঙ্ঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক কমিশনকে পাকিস্তান সতর্ক করেছে। ইসলামাবদ বলেছে, নয়াদিল্লির এই পলিসি আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। কারণ তারা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিবেশকে অস্থির ও বিস্ফোরণোন্মুখ করে তুলেছে।
আন্তঃসরকার সংগঠনগুলোর সাবসিডিয়ারি বডির এক সেশনে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আকরাম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিবেশের দ্রুত অবনতি হয়েছে। এর কারণ এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় একটি রাষ্ট্র বিপুল অস্ত্রশস্ত্রের একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আকরাম জোর দিয়ে বলেন যে, যুদ্ধ-যুদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করেছে শীতল যুদ্ধ শুরুর মতো। এটি হলো পাকিস্তানের ওপর আকস্মিক আক্রমণ এবং সীমিত পরিসরে একটি যুদ্ধ। তিনি আরো বলেন, নয়াদিল্লি এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানিকারক। তাদেরকে পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র, প্রচলিত এবং অন্যান্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা যায় এমন অস্ত্র সরবরাহ দিচ্ছে তাদের কৌশলগত অংশীদাররা।
এরই মধ্যে জাতিসঙ্ঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক কমিশনের ২০২৪ অধিবেশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি উসমান জাদুন। এর পরই ভারতের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করলেন আকরাম। ভারতের ‘বেআইনিভাবে দখলীকৃত জম্মু ও কাশ্মির’ ইস্যুতে এই দূত আরো বলেন, দশকের পর দশক ধরে কাশ্মিরিদের নিষ্ঠুর নিষ্পেষণ করা হচ্ছে। একই সাথে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। তাদেরকে অস্ত্রের জোগান দেয়ার ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি হয়েছে। এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী অস্ত্র এবং যুদ্ধ মনোভাব একে আরো সঙ্গিন করে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দিচ্ছে ভারত। এ ক্ষেত্রে কোনো সংলাপ নেই। আন্তর্জাতিক কোনো পদক্ষেপ নেই। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত বলেন, যদি এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এ পরিস্থিতি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।


আরো সংবাদ



premium cement