জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ভোটাভুটি চায় ফিলিস্তিন

চলতি মাসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ভোটাভুটি চেয়েছে ইসরাইলের আগ্রাসনের শিকার ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। দেশটির কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে বলেছে, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এই মাসে বিশ্ব সংস্থার পূর্ণ সদস্য করার জন্য ভোট দিতে হবে।
জাতিসঙ্ঘে স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, আগামী ১৮ এপ্রিল জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মনসুর বলেন, যদিও ভোটের বিষয়টি এখনো শিডিউল করা হয়নি। পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ২০১১ সালে করা ফিলিস্তিনিদের একটি আবেদন এখনো মূলতবি রয়েছে। কারণ ১৫ সদস্যের এই কাউন্সিল কখনোই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য একটি আবেদন নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিতে পারে এবং ১৯৩ সদস্যের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট থাকতে হবে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদ চায় ফিলিস্তিন। পৃথিবীর বৃহত্তম বৈশ্বিক এই সংস্থার ফিলিস্তিন প্রতিনিধিদল তখন এ তৎপরতা শুরু করে।
এ নিয়ে তখন জাতিসঙ্ঘের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা শুরু করেন প্রতিনিধি দলের প্রধান রিয়াদ মনসুর। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ইসরাইল স্বীকৃতি দেবে কি না’ প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। নেসেটের ১২০ সদস্যের মধ্যে ৯৯ জনই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় রিয়াদ মনসুর তখন বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত যেকোনো ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার একমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণের। কারো অনুমতির ওপর আমাদের স্বাধীনতা নির্ভরশীল নয়।’ ২০১২ সালে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে জাতিসঙ্ঘে প্রবেশের অনুমতি পায় ফিলিস্তিন। এমন পরিচায়ভুক্ত দেশ বা ভূখণ্ডগুলো জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা ও বিতর্কে যুক্ত হতে পারে। তবে কোনো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিতে পারে না।
জাতিসঙ্ঘের সনদ অনুসারে, কোনো দেশ যদি জাতিসঙ্ঘের সদস্য হতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাকে প্রথমে এই সংস্থার সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। আবেদনপত্রের সাথে সেই সুপারিশ সংযুক্ত করলেই কেবল দেশটিকে সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করে সাধারণ পরিষদ।