ভারতের সাথে আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বারোপ চীনের
- গ্লোবাল টাইমস
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চীন-ভারত পারস্পরিক আস্থা পুনরুদ্ধারে জোর দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংই। গত শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে সাক্ষাৎ করে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা পুনরুদ্ধার উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়তা করবে। চীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ওয়াং বলেন, গত বছর রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি ও উন্নয়নের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করেছিলেন।
উভয়পক্ষই একমত যে, দু’টি প্রাচীন সভ্যতা এবং প্রতিবেশী প্রধান দেশ হিসেবে চীন ও ভারতের একে অপরের উপর আস্থা রাখা, সমর্থন করা এবং পারস্পরিক সাফল্য অর্জন করা উচিত।’ ‘এর পর, দুই দেশের মধ্যে সর্বস্তরে বিনিময় ধারাবাহিকভাবে আবার শুরু হয়েছে এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট পার্থক্যগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে’- বলেন ওয়াং।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থা পুনরুদ্ধার এবং চীন ও ভারতের মধ্যে জয়-জয় সহযোগিতা বাস্তবায়ন উভয় জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা পূরণ করে। উভয়পক্ষের উচিত দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বারা প্রাপ্ত ঐকমত্য অনুসরণ করা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সঠিক পথে থাকা নিশ্চিত করা। চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করার জন্য ভারতের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার করবে।
এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি শি’র মধ্যে বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিনিময় ধীরে ধীরে আবার শুরু হয়েছে, যা উল্লেখযোগ্য ফলাফল এনেছে।’
উভয়পক্ষের স্বার্থেই ভারত ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা গড়ে তোলা জরুরি উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে কষ্টার্জিত অগ্রগতিকে ভারত মূল্য দেয় এবং সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি ও জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক সহজতর করতে এবং সীমান্ত অঞ্চলে যৌথভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী ভারত।’
‘আজকের বিশ্বের বিরাজমান বিভক্তি এবং মেরুকরণের ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত এবং চীন উভয়ই জি২০, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং ব্রিকসের সদস্য; যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এই বিষয়গুলিতে চীনের সাথে যোগাযোগ এবং সমন্বয় বাড়াতে ইচ্ছুক’- যোগ করেন জয়শঙ্কর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা