ইউক্রেনে নির্বাচনের আগে যুদ্ধবিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র
- রয়টার্স
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক শীর্ষ দূত জানিয়েছেন, আগামী মাসগুলোতে কিয়েভ যদি রাশিয়ার সাথে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে তবে ইউক্রেন সম্ভব হলে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করবে, এমনটি চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিযুক্ত ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কিলোগ রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চলাকালে স্থগিত থাকা ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন ‘করা দরকার’।
কিলোগ বলেন অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশই তাদের যুদ্ধের সময়েই নির্বাচন করে। আমি মনে করি, তাদেরও এমন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, এটি গণতন্ত্রের জন্য ভালো। এটি একটি বলিষ্ঠ গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। চলতি মাসে এ যুদ্ধের তিন বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প ও কিলোগ উভয়েই বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সঙ্ঘাত শেষ করতে তারা কী কৌশল নিচ্ছেন, সে বিষয়ে তেমন বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা, এ ধরনের একটি পরিকল্পনা কখন সামনে আনবেন তাও স্পষ্ট করে জানাননি। ট্রাম্পের পরিকল্পনা এখনো বিকশিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি, কিন্তু কিলোগ ও হোয়াইট হাউজের অন্য কর্মকর্তারা রাশিয়ার সাথে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে একটি নির্বাচনে সম্মত হতে চাপ দেয়া নিয়ে সম্প্র্রতি আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন এ আলোচনার বিষয়ে জানেন এমন দুই ব্যক্তি ও নির্বাচন প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এমন সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনার বিষয়ে জ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি জানান, আরো স্থায়ী একটি চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টার আগে প্রাথমিক একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক করছেন ট্রাম্পের কর্মকর্তারা। ওই দু’জন জানান, ইউক্রেনে যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে যিনি জয়ী হবেন তিনিই মস্কোর সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেবেন। স্পর্শকাতর নীতি ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
ট্রাম্পের এ ধরনের প্রস্তাব কিয়েভ কীভাবে নেবে তা পরিষ্কার হয়নি। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যদি যুদ্ধ শেষ হয় আর রাশিয়া ফের শত্রুতা শুরু করবে না এমন জোরালো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তবে চলতি বছরই ইউক্রেন নির্বাচন করতে পারবে। কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও ইউক্রেনীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনকে চলতি বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানায়নি। জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৪ সালেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা