ইরানের কোনো প্রক্সি বাহিনী নেই : খামেনি
- মেহের নিউজ
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কোনো প্রক্সি নেই। মূলত, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রক্সি হারিয়েছে- বিভিন্ন নেতার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
হজরত ফাতিমার জন্মবার্ষিকীতে একটি দলের সাথে সাক্ষাতের সময় আয়াতুল্লাহ খামেনি এ কথা বলেন। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা চলমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশে একটি ‘শক্তিশালী ও সম্মানজনক’ আন্দোলন আবির্ভূত হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
আলী খামেনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, সিরিয়ায়ও একটি শক্তিশালী ও সম্মানিত দেশের কাতারে উঠে আসবে। একজন সিরিয়ান তরুণের হারানোর কিছু নেই- তার বিশ্ববিদ্যালয় অনিরাপদ, তার স্কুল অনিরাপদ, তার বাড়ি অনিরাপদ, তার রাস্তা অনিরাপদ, তার পুরো জীবনই অনিরাপদ। সে কী করবে?’
ইরান-সিরিয়া সম্পর্কের ইতিহাস মূলত ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর শুরু হয়। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পিতা হাফিজ আল-আসাদের শাসনের সময় ইরানের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলে দামেস্ক। বিশেষ করে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়। ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও সিরিয়া ইরানকে তার মূল কৌশলগত সহযোগী হিসেবে ধরে রাখে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইরান বাশার আল-আসাদের শাসন রক্ষায় সামরিক সহায়তা প্রদান করে। ইরান শিয়া মিলিশিয়া গঠন এবং ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ তৈরি করে, যা এখনো সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বজায় রাখছে।
ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ইতিহাস দীর্ঘ এবং জটিল। ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের পর ইরান একটি ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং এক পর্যায়ে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ক্ষমতায় আসেন। বিপ্লবের মাধ্যমে ইরান রাজতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এবং পশ্চিমা শক্তির প্রভাব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।
এদিকে, ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর চরম অবনতি ঘটে। ইরান ইসরাইলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিতে শুরু করে। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে ইসরাইল উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে, কারণ তারা মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। ইরান ইসরাইল বিরোধী সংগঠন যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস এবং হাউছি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে তার আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমানে, ইরান ইসরাইলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থন জানায়, ইসরাইলও ইরানকে তার প্রধান শত্রু হিসেবে দেখে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা