টিকাবিরোধী কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিবিসি
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন, যিনি কোভিডের সময় টিকাবিরোধী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজাই স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন।
কেনেডি জুনিয়রের মনোনয়ন সিনেটে অনুমোদন পেলে তিনি খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসা গবেষণা এবং কল্যাণ কর্মসূচির মতো দায়িত্ব পাবেন। বর্তমানে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে আছে সিনেট। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, কেনেডি জুনিয়রের নাম মনোনীত করতে পেরে তিনি খুবই পুলকিত। সাবেক স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কেনেডি জুনিয়র যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা আগেই জল্পনা করছিলেন মিত্ররা। আর সেটি আঁচ করতে পেরেছিলেন ট্রাম্পের কথাতেই।
ভোটের বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উদ্দেশে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কেনেডি আমেরিকাকে আবার সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করতে চান।’ পরিবেশ আইনজীবী, টিকাবিরোধী আন্দোলনকারী এবং ১৯৬০-এর দশকে নিহত দুই প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট নেতার ছেলে ও ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছিলেন।
কিন্তু জো বাইডেনের পুনঃভোটের প্রশ্নে তার পরিবারের বেশির ভাগই সমর্থন করেন এবং তারা কেনেডি জুনিয়রের টিকাবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এরপরে কেনেডি জুনিয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার দিকে মনোযোগে দেন, তবে নানা বিতর্কের মধ্যে ভোটের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন এবং ট্রাম্পকে সমর্থন করেন। নির্বাচনের আগে শেষ দুই মাসে তিনি ‘মেইক আমেরিকা হেলদি অ্যাগেইন’ নামে ট্রাম্পের একটি প্রচার উদ্যোগে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
কেনেডি শিশুদের টিকা দেয়ার ঘোরতর বিরোধী। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস, টিকা দেয়ার কারণেই শিশুদের অটিজম হয়।’ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, টিকার সাথে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের (এএসডি) কোনো সম্পর্ক নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা