সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সতর্ক পদক্ষেপ ইরান ও সৌদি আরবের
- ডয়েচে ভেলে
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। তবে গত বছর চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর দেশ দু’টি সেই বৈরী সম্পর্ক থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে বলা যেতে পারে। আর মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের সাম্প্রতিক সময়ের কূটনৈতিক তৎপরতা এমন ইঙ্গিত দেয় যে, সম্পর্ক গভীর করতে চায় তারা। যেমন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সর্বশেষ সৌদি সফরের কথা বলা যেতে পারে। সফরে তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
দেশ দু’টির বৈরী সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরনো। বলা যেতে পারে, ১৯৭৯ সালে ইরান বিপ্লবের পর থেকেই এমন সম্পর্ক বিরাজ করছে। কয়েক দশকের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে দুই দেশের এই চেষ্টা খুবই নতুন এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে ইসলামের নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে এবং মুসলমানদের পবিত্র স্থান মক্কা এবং মদিনার জিম্মাদার মনে করে সৌদি আরব। ২০১০ সালের আরব বসন্তের সময়ে দেশ দু’টির দুই মেরুর অবস্থান আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সৌদি রাজপরিবারের আশঙ্কা ছিল, ইরান এই আন্দোলনকে ব্যবহার করতে পারে।
তবে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নানা আলাপ-আলোচনা থাকা সত্ত্বেও দেশ দু’টি ইয়েমেন প্রশ্নে দুই মেরুতেই অবস্থান করছে। ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বিহ মানসুরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছে এবং দেশটির কিছু অঞ্চল নিজেদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ দিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সুন্নি দেশগুলোর যে জোট তা আবার পশ্চিমাদের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে। তারা হাউছিদের মোকাবেলা করতে চায়। মূলত এই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে তৎপর তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই চেষ্টায় সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। জার্মানির থিংক ট্যাংক সিএআরপিও-এর বিশ্লেষক সেবাস্টিয়ান সোনস ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেলের স্থাপনায় ইরানের হামলার পর সৌদি সরকার বুঝতে পেরেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে পারবে না। সেই সাথে প্রতিবেশী ইরানের সাথে বৈরিতার সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, তেলের ওপর নির্ভর করা রিয়াদের কাছে দেশটির অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করবে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর। এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছে সৌদি আরব। তা ছাড়া সৌদি আরবে মিসাইল হামলার ঘটনাও বন্ধ করতে চায় রিয়াদ। সৌদি আরব মনে করে, হুতি বিদ্রোহীদের প্রভাবিত করতে পারে ইরান। তবে বার্লিনের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের হামিদরেজা আজিজি ডয়েচে ভেলেকে বলেন, হুতির সব কার্যক্রমের ওপর ইরান প্রভাব ফেলতে পারবে বিষয়টি এমন নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা