ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন অশনিসঙ্কেত বয়ে আনতে পারে
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবারো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা এক অশনিসঙ্কেত বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। দ্য আটলান্টিকের এক রিপোর্টে এমন শঙ্কার কথা উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেররা মার্কিন প্রশাসনে প্রবেশ করে এমন এক অলিগার্কি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যা মার্কিন গণতন্ত্রের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দিতে পারে। এই অলিগার্কি রাশিয়ার পুতিনের শাসনব্যবস্থার অনুরূপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যানহাটনের তার অফিসে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক এবং টিম কুকের মতো শীর্ষ ধনকুবেরদের সাথে এক বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, এই বিশ্বে তোমাদের মতো আর কেউ নেই। আমি এসেছি তোমাদের সাহায্য করতে।
এই আপাত-সহায়তার প্রতিশ্রুতির পেছনে লুকিয়ে ছিল এক ধরনের বিনিময় প্রস্তাবের ইঙ্গিত। ট্রাম্প প্রশাসন যদি কর ছাড় এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে, তাহলে এই ধনকুবেররা ট্রাম্পের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে সহায়তা করবেন বলে অনেকেই মনে করেন। তবে ট্রাম্পের কিছু নীতি, বিশেষ করে শুল্ক ও অভিবাসন নীতি নিয়ে এই ধনকুবেররা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা আশঙ্কা করেছিলেন, ট্রাম্পের সাথে খোলাখুলি একমত হলে তাদের কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে।
এবার যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে ধনকুবেরদের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে একটি অলিগার্কি তৈরি হতে পারে, যেখানে এক ছোট দল ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে। রাশিয়ার পুতিনের মতো এক ব্যবস্থা মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই ধরনের শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে। দুর্নীতি বৃদ্ধি পায় এবং জনগণের অধিকার হরণ করা হয়।
ট্রাম্পের প্রথম কার্যকালেই তার পারিবারিক ব্যবসায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। একটি গলফ রিসোর্টের একটি ইভেন্টে তিনি ৭ লাখ ডলার ব্যয় করেছিলেন বলে জানা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা