ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরাইলকে সুরক্ষার চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র- রয়টার্স
- ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা এবং সামরিক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, ইসরাইলে ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য দেশটিতে থার্মিনাল হাই-অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যাটারি এবং তা চলাতে সেনাসদস্যদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, থাড ব্যাটারি মোতায়েন ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য সহায়ক হবে। থাড ব্যাটারি পরিচালনা করতে সাধারণত অন্তত ১০০ সেনা প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন থাড ব্যবস্থা তৈরি ও সুসঙ্ঘত করে। থাডগুলোকে স্বল্প, মাঝারি এবং মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
তবে কত দ্রুত এ ব্যবস্থা ইসরাইলে মোতায়েন করা হবে তা জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। এর আগে ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণ ও বিমান প্রতিরক্ষা মহড়ার জন্য একটি থাড ব্যাটারি ইসরাইলে পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরান গত ১৩ এপ্রিল ও ১ অক্টোবর অন্তত ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করেছিল। ইসরাইল এখন পর্যন্ত এ হামলার জবাব কীভাবে দেবে তা জানায়নি। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, যে তাদের হামলাটি মারাত্মক ও বিস্ময়কর হবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ইসরাইলের মাটিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করে তাদের সেনাদের জীবন ঝুঁঁকিতে ফেলছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে আরাকচি লিখেছেন, ‘সম্প্রতি এ অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ দমিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমরা।
তবে আমরা পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি যে, আমাদের জনগণ এবং স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সীমারেখা নেই।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছে ইরান। তবে ইসরাইলে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনে তাদের হিসাব-নিকাশে আরো পরিবর্তন আনতে পারে।