যুদ্ধ এড়াতে ইরানপন্থী যোদ্ধাদের সাথে সতর্ক সম্পর্ক রাখছে ইরাক
- আরব নিউজ
- ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
গাজা ও লেবাননে চলমান সঙ্ঘাত আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইরাক সরকার ইরানপন্থী শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে ইরাকের। ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর একটি শিথিল জোট ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক। সম্প্রতি এই দলটি ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার দাবি করেছে। তারা বলছে, এসব হামলা গাজার ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসকে সমর্থন জানিয়ে চালানো হয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইসরাইল দাবি করেছে, গত সপ্তাহে ইরাক থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। পরের দিন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেছিলেন, তার দেশ সাতটি ফ্রন্টে আত্মরক্ষা করছে। আর এই সাতটি ফ্রন্টের মধ্যে ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীগুলোও রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ হঠাৎ অন্যদিকে মোড় নেয় গত সেপ্টেম্বরে। ওই সময় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আক্রমণ বৃদ্ধি করে ইসরাইল এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল সেনা প্রেরণ করে।এর ফলে ইরান গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে দ্বিতীয়বারের মতো ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় ইসরাইল। ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধের সতর্কতা বাড়তে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে ইরানপন্থী সমন্বয় কাঠামো (কোঅর্ডিনেশন ফ্রেমওয়ার্ক) দ্বারা পরিচালিত ইরাক সরকারের পক্ষে এই সঙ্ঘাতের বিস্তৃতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে। যদিও দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধ ও সংকটে বিধ্বস্ত ইরাক চায় এই সহিংসতা তাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ুক। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে মধ্যপ্রাচ্য সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাকচি রোববার বাগদাদে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের প্রথম বছরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বলেন, এ অঞ্চলকে বিধ্বংসী এই যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তার সরকার বড় প্রচেষ্টা চালিয়েছে যাতে ইরাক সঙ্ঘাতের হাত থেকে বাঁচতে পারে।