২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ট্যুইটারের সিইও হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল

পরাগ আগরওয়াল - ছবি : সংগৃহীত

আমেরিকান মাইক্রোব্লগিং ও সামাজিক নেটওয়ার্কিং সার্ভিস টুইটারের সিইও হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা, গুগলের সুন্দর পিচাই বিশ্বকে কার্যত শাসন করছেন। এবার ওই তালিকায় যোগ হলো আরো একটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাম। পরাগ আগরওয়াল। জ্যাক ডর্সি পদত্যাগ করার পর আইআইটি বম্বের স্নাতক পরাগ আগরওয়াল জ্যাকের পদে ট্যুইইটারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। পরাগ আগরওয়াল এত দিন ট্যুইটারের চিফ টেকনিকাল অফিসার (সিটিও) পদে কর্মরত ছিলেন। কোম্পানির বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সিইও পদে নির্বাচিত করেছে।

সিইও পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরাগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জ্যাক ডর্সি। সোমবার জ্যাক নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এবং সেই সাথে জানিয়েছেন যে তার জায়গায় বসতে চলেছেন পরাগ আগরওয়াল। পারগকে নিয়ে তিনি লেখেন, "ট্যুইটারের সিইও হিসেবে পরাগকে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। গত ১০ বছরে ধরে ও যে কাজ করছে তা 'ট্রান্সফরমেশনাল'। এবার সময় হয়েছে ওর নেতৃত্ব দেয়ার।" তিনি আরো বলেছেন যে রাগের উপস্থিতির কারণে তিনি নিশ্চিন্তভাবে পদ থেকে ইস্তফা দিতে পেরেছেন। 'তার কোম্পানির বোঝাপড়ার কারণে পরাগ আমারও পছন্দের সিইও। প্রতিটি কঠিন সিদ্ধান্তের পিছনে পরাগ ভূমিকা রেখেছেন এবং সেই কারণেই কোম্পানিটি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছে।'

পদত্যাগের দীর্ঘ জ্যাক চিঠিতে আরো লিখেছেন, 'সহ-প্রতিষ্ঠাতা থেকে সিইও থেকে চেয়ারম্যান থেকে এগজিকিউটিভ চেয়ার থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সিইও থেকে সিইও - ১৬ বছর ধরে আমাদের সংস্থায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর আমার বিদায় নেয়ার সময় এসে গিয়েছে।'
পরাগ একটি ট্যুইটে জ্যাককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'ভবিষ্যতের জন্যে খুবই উদগ্রীব। বিশ্বাস করার জন্যে এবং পাশে থাকার জন্যে গোটা টিমকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। ট্যুইটে একটি লম্বা মেইলের ছবিও দিয়েছে।

জেনে নিন পরাগ আগরওয়ালের সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...

১। পরাগ আগরওয়াল আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছেন।

২। আইআইটি বোম্বে থেকে পড়াশোনা করার পর, তিনি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন।

৩। পরাগ এর আগে মাইক্রোসফট রিসার্চ এবং ইয়াহু রিসার্চে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৪। ২০১১ সালের অক্টোবরে পরাগ যোগ দেন ট্যুইটারে। বলা হয়, ট্যুইটারকে জনপ্রিয় করতে পরাগের অবদান অনেক। জ্যাক ডর্সি নিজেই তার পদত্যাগে কঠিন সিদ্ধান্তে পরাগের ভূমিকা উল্লেখ করেছেন।

৫। প্রথমে তিনি ডিস্টিনগুইশড সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পাশাপাশি তাকে গ্রাহক ও কোম্পানির আয়-ব্যয় ও সায়েন্স টিমের সঙ্গেও কাজ করতে হয়।

৬। পরাগের কাজের কারণে কোম্পানি ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে অসাধারণ দর্শক বৃদ্ধি পায়।

৭। ২০১৮ সালে, ট্যুইটার পরাগকে কোম্পানির সিটিও পদে নিযুক্ত করেছিল।

৮। সিটিও হিসাবে, পরাগ কোম্পানির প্রযুক্তিগত কৌশল, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হয়।

৯। ২০১৯ সালে, জ্যাক ডর্সি পরাগকে প্রজেক্ট ব্লুস্কাই এর প্রধান করেন। প্রজেক্ট ব্লুস্কাই ট্যুইটারে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছিল।

১০। ২৯ নভেম্বর ২০২১-এ জ্যাক ডর্সি পদত্যাগের পর পরাগ এখন ট্যুইটারের নতুন সিইও হয়েছেন।

সূত্র : নিউজ ১৮


আরো সংবাদ



premium cement