ইন্টারনেটের ৩০ বছর ও স্যার টিম বার্নার্স-লি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩১, আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩২
গুগলে সার্চ করা, ফেসবুকে শেয়ার করা এবং আমাজনে কেনাকাটা করা মানুষের বেশিরভাগই স্যার টিম বার্নার্স-লিকে চিনেন না অথবা তার নামও শুনেননি। কিন্তু, এসব লোক সার্চ ইঞ্জিন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কেনাকাটার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারতেন না, যদি না স্যার টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা ইন্টারনেট আবিষ্কার না করতেন।
৩০ বছর আগে এক তরুণ ব্রিটিশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরে বিশ্বে প্রথম ওয়েবসাইটের প্রচলন হয়। ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণা সংস্থা সার্নে কাজ করার সময় ওই তরুণ ব্রিটিশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এ অসম্ভব কাজকে বাস্তবে রূপান্তর করেন। ওই তরুণ ব্রিটিশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারই হলেন স্যার টিম বার্নার্স-লি।
১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স-লি ডিজিটাল অবজেক্টকে ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিহ্নিত করা ও উন্নত করার উপায় নিয়ে কাজ করছিলেন। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাফিকস ও অন্য ছবি তৈরি করা সম্ভব ছিল।
টিম বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালের ১২ মার্চ তারিখে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রযুক্তির বিপ্লব সৃষ্টি করেন। এখন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পণ্য ক্রয়, নিজের চিন্তা-ধারনাগুলোকে অন্যদের কাছে পৌঁছাতে ও তথ্য জানতে পারছে। এছাড়া আরো অনেক কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৯৯১ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখে স্যার টিম বার্নার্স-লি বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করেন। ওই ওয়েবসাইটের নাম ছিল http://info.cern.ch। এ ওয়েবসাইটটি তার ওয়ার্ল্ড ওয়াই ওয়েব প্রকল্পের আওতায় কাজ করত।
ধারণা করা হয় যে বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ১.৮ বিলিয়ন ওয়েবসাইট আছে।
স্যার টিম বার্নার্স-লি তার প্রযুক্তির কোনো পেটেন্ট বা মালিকানা বিষয়ক স্বত্বের বিরোধী ছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি মালিকানাবিহীন একটি মুক্ত সফটওয়্যারের প্রচলন করেন।
তার তৈরি করা মৌলিক প্রযুক্তির ভিত্তির ওপর তিনি অন্য প্রোগ্রামারদের কাজ করার সুযোগ দেন। এ কারণেই আজ বিশ্বে এক বিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। অনলাইনে এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের কাজ করতে পারছেন।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা