ত্রাণের জন্য গলা পানিতে বানভাসী মানুষ
- খাদেমুল বাবুল, জামালপুর
- ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪৫, আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ২১:৫২
নৌকা দেখলেই গলা পানিতে ছুটে আসছেন জামালপুরের ইসলামপুরের মানুষ। চলতি বন্যায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এতে বন্যা কবলিত জেলা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন বন্যা দেখা দিয়েছে।
সরকারিভাবে বন্যা কবলিত পরিবারের সংখ্যা ১৫ হাজার তিনটি এবং বানভাসী মানুষের সংখ্যা ৭৫ হাজার ১৮ জন। আর এ সকল বানভাসী পরিবার ও মানুষের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৭০ টন চাল। যা বানভাসী মানুষের জন্য অপ্রতুল। তবে বাস্তবে বানভাসী মানুষের সংখ্যা ২ লাখের অধিক বলে জানান বিভিন্ন সূত্র।
উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, তার ইউনিয়নের সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তার হিসাব মতে ইউনিয়নে বানভাসীর সংখ্যা অন্তত ৬০ হাজার।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ২০ টন চাল ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছি। যেটি বানভাসীদের মাঝে বিতরণে চরম হিমশিম খেতে হয়েছে আমাকে।
সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল বলেন, তার ইউনিয়নটি যমুনার বুকে। তাই সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়ে তিন হাজার পরিবারের ৩০ হাজার মানুষ। ত্রাণ হিসেবে সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ১১ টন চাল। ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে ১১ টন চাল বিতরণ কষ্টকর বলে জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ২০০ প্যাকেট এবং ইসলামী রিলিফের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ পাওয়ায় একটু না স্বস্তির মধ্যে আছি।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ইসলামপুর উপজেলার বানভাসী মানুষের জন্য ১৭০ মেট্রিক টন ত্রাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বরাদ্দের ১৬০ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১০ টন হাতে রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল হাতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ মেট্রিক চাল এবং এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে ।
এদিকে ‘প্রিয় ইসলামপুর’ এর ব্যানারে চিনাডুলী ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে ত্রাণ না পেয়ে গলা পানিতে নেমে আসে বানভাসীরা’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা