চামার বাড়ি সেতু : উঠলেই মনে হয় ভেঙে পরলাম বুঝি!
- খাদেমুল বাবুল, জামালপুর
- ৩১ মে ২০২৪, ১৬:৪৫
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চামার বাড়ি সেতুটি পথচারীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
জেলার ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়ন ও বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের গোয়ালেরচর ইউনিয়নের চামারবাড়ী খালের ওপর সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ।
এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ৭০০ ছোট-বড় গাড়ি এবং কয়েক হাজার পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে ।
এলাকাবাসী জানান, দুই উপজেলা দুই ইউনিয়নের লাখের অধিক মানুষের চলাচলের জন্য চামারবাড়ি খালের ওপর যে সেতুটি রয়েছে সেটি চরম ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়ি আছে।
স্থানীয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, পথচারী, স্থানীয় লোকজন, অটোরিকশাচালক, ভটভটি চালক এবং গোয়ালের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ অনেকেই বলেন, সেতুটি ওপর দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
এই সেতুটি কত বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে একটি সূত্র থেকে জানা যায়, আশির দশকের গোড়ার দিকে পায়ে হেঁটে চামারবাড়ি খাল পারাপারের জন্য এই ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে দীর্ঘ প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেছে সেতুর বয়স। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এবং জরাজীর্ণ এই সেতুটির দিকে নজর দেয়নি কেউ।
অটোরিকশাচালক সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছি ।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন বলেন, ব্রিজটি এতোই ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। ‘সেতুর ওপর উঠলেই মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়ি’ কি করব জীবন জীবিকার তাগিদে যেতে হয়। এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য এই আসনের এমপি ধর্মমন্ত্রী মহোদয়সহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কষ্ট রয়েই গেল।
গোয়ালের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হক বলেন, সেই আশির দশকে এই ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। এখন এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সব ব্রিজই হয়েছে এই ব্রিজটির জন্য হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
গোয়ালের চর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, চামার বাড়ি খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। ইউনিয়ন পরিষদের সেতু করার কোনো সুযোগ বা অর্থ বরাদ্দ নেই। তিনি ওই স্থানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
তিনি এলাকাবাসী পক্ষে পুরাতন সুরু এবং ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি ভেঙে নতুন একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো: আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এখানে একটি গার্ডার নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা