কটিয়াদীতে বাবার আসন পুনরুদ্ধার করলেন ছেলে
- ফখর উদ্দিন ইমরান, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
- ২২ মে ২০২৪, ১১:৫২
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৩০ বছর পর বাবার আসন পুনরুদ্ধার করলেন ছেলে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মঈনুজ্জামান অপু। এর আগে ১৯৮৫ সালে তার বাবা মরহুম আসাদুজ্জামান কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে এ উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর ২০২৪ সালে এসে মঈনুজ্জামান অপু উপজেলা পরিষদেরপ্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ওয়াহিদুজ্জামান ঘোষিত বেসরকারী ফলাফল সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারী ফলাফলে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আসাদুজ্জামানের ছেলে ও বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ সদরের বর্তমান এমপি সৈয়দ জাকিয়া নূরের মামাত ভাই ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মঈনুজ্জামান অপু এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ৪৪ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্জ লায়ন মো: আলী আকবর পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৮৭ ভোট।
তাছাড়া তিনি বোয়ালিয়া তাহেরা নুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানদাতা।
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় মঈনুজ্জামান অপু বলেন, এ বিজয় অত্র উপজেলার জনগণের। তাই আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি বাবার মত করে অত্র উপজেলাকে সাজিয়ে নিয়ে জনগণের সেবা করতে পারি।
এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে কটিয়াদী রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক নাঈম মিয়া (বদরুল আলম) চশমা প্রতীকে ৪৩ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তালা প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৫৮ভোট পেয়েছেন।
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম কলস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা ফটবল প্রতীকে ৩০ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা