একসাথে ৪ শিশুর জন্ম, ৩ জনের মৃত্যু
- জামালপুর প্রতিনিধি
- ১৫ মে ২০২৪, ১৬:৪৭, আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১৭:১১
জামালপুরের ইসলামপুরে একসাথে চার শিশুর জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ খুশি বেগম।
কিন্তু জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু নিবিড় পরিচর্যা শাখা (আইসিসিইউ) ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় দু’টি ছেলে ও একটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে ।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মো: মাহফুজ রহমান বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিন নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, যে নবজাতকটি এখনো জীবিত আছে, সেও মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। তবে প্রসূতি খুশি বেগম সুস্থ আছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।
জানা যায়, বুধবার সকালে জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল গিলাবাড়ী এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী খুশি বেগমের প্রসব ব্যথা উঠে। পরে স্বজনরা দ্রুত তাকে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা তার চারটি সন্তান স্বাভাবিক ডেলিভারি করান।
খুশি বেগম একজন গার্মেন্টস কর্মী। চারটি সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেই তিনি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি গার্মেন্টস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ঢাকায় রিকশা চালান।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রসব ব্যথা উঠলে খুশি বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। স্বাভাবিকভাবে তার চারটি শিশু জন্ম নেয়। পরে প্রসূতি মা ও শিশু চারটির উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু নিবিড় পরিচর্যা শাখা (আইসিসিইউ) ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’টি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানের মৃত্যু হয়।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এএম আবু তাহের জানান, তার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন।
প্রসূতির বড় বোন পারুল বেগম বলেন, আমার ছোট বোন খুশি বেগমের আগেও একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে। আজ তিনটা ছেলে ও একটা মেয়ে সন্তান একসাথে জন্ম নেয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তিনটি সন্তান মারা যাওয়ার পর খুব কষ্ট হচ্ছে।
খুশি বেগমের চাচাতো ভাই যুবরাজ জানান, আমার ছোট বোনের সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে সবাই মিলে তাকে ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় নরমালভাবে একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে ভালো চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট লাগছে। কারণ এর আগেও খুশির একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা