২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মারামারি মামলা : ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারাগারে

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহে ভালুকা উপজেলায় মারামারি মামলায় জামিন নিতে গেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার সকালে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো: রওশান জাহান তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অহেতুক তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে তিনি (ফজলুল হক) তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। পরে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের তাইজুদ্দিন শেখের ছেলে গাঙ্গাটিয়া বিদ্যাধারা স্কুলের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ূন কবির ওই স্ট্যাটাসটি শেয়ার দেন। এ নিয়ে সিডষ্টোর বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গত ২০১৯ সালের সোমাবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবুল কালাম আজদের নেতৃত্বে একদল লোক হুমায়ূন কবিরের ওপর হামলা চালায়। পরে হুমায়ূন কবির তাকে (আবুল কালাম আজাদ) প্রধান আসামি করে ইমরান, নাজমুল, মানিক ও আবিরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ দিতে যান। থানায় মামলা না নেয়ায় পরে তিনি (হুমায়ূন কবির) জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলী আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ভালুকা মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি মন মতো না হওয়ায় হুমায়ূন কবির আদালতে না রাজির দরখাস্ত করেন। আদালত মামলাটি প্রথমে গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন। সেটিও মন মতো না হওয়ায় তিনি (হুমায়ূন কবির) পুনরায় আদালতে না রাজি দিলে মামলাটি আদালত পুনরায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল আমীন আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামিরা স্থায়ী জামিনে থাকলেও ১ নম্বর আসামি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জামিন নেননি।

মামলার বাদি হুমায়ূন কবির জানান, একটি স্ট্যাটাসের শেয়ার দেয়ার ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তার উপর হামলা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় তিনি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জামিন না মুঞ্জুর করে জেল হাজাতে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম আজিজুল হক খান জানান, ‘উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জামিন বাতিল হওয়ায় চীফ জুডিশিয়াল আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement