২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জামালপুরে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

- ছবি - নয়া দিগন্ত

রবি শস্য সরিষা, বেগুন, আলুসহ বিভিন্ন ফসল ঘরে উঠার পর ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামালপুরের কৃষকরা।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এক লাখ ২৯ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে রূপসী, হাইব্রিডসহ বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক লাখ ২৪ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। হাইব্রিড ৫০ হাজার ৭৯০ হেক্টর, উফশী ৭৩ হাজার ৮৪৫ এবং স্থানীয় জাতের ১৭৭ হেক্টর ধান চাষ হয়েছে। মার্চের মধ্যে লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ।

সূত্র আরো জানায়, চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৩৩ হাজার সাত শ’ হেক্টর, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর, মেলান্দহ উপজেলায় ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর, ১৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর, সাত হাজার ৯২৫ হেক্টর, মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর, ২০ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে।

কৃষক যেভাবে ধান রোপন শুরু করেছে, এতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এরইমধ্যে সবুজ ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। আবার কিছু জমিতে রবিশস্য বেগুন, মরিচ, আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল উঠায় ওইসব জমিতে ধান চাষে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা গ্রামের কৃষক শরেশ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এসব জমি তিন ফসলি। ধান কাইটি পাট বুনছি। পাট কাইটি মরিচ বুনছি। এহন মরিচ পাকছে। মরিচ তুইলি এহন ধান নাগাইতাছি। তাই দেরি হয়ছে।’

ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের বোলাকীপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘আমাগরে জমিতে চার আবাদ হয়। তাই ধান নাগানি দেরি হয়ছে।’

মেলান্দহ উপজেলার জাফরশাহী পচাবহলা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, “আমাদের জমি দু'ফসলা। তাই মেল্লা (অনেক) আগেই ধান নাগাইছি। আমাগো ধান ক্ষেত কালা (সবুজ) ও গুছি মুটা হয়ে উঠছে।”

ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় গিরস্ত জুনু বেপারী বলেন, আমার ধান মোটামুটি হয়েই গেছে। কারণ ওই সব জমিতে শুধু ইরি-বোরো ধানই হয়। তাই মাস দেড়েক আগে রোপণ করা হয়েছে।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মার্চ মাসের এই কয়েক দিনের মধ্যেই এক লাখ ২৯ হাজার ৩২০ হেক্টরের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন করতে সরকার যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জেলা কৃষি বিভাগ তা শতভাগ বাস্তবায়নের নিরলস কাজ করে চলেছেন।

চলতি মৌসুমে জেলায় যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি অর্জিত হবে বলে আশা কৃষির বিভাগের।


আরো সংবাদ



premium cement