ঈশ্বরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর আসামি র্যাবের হাতে আটক
- ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর এ মামলার অন্যতম আসামি আমিনুল ইসলাম মাখনকে আটক করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
শুক্রবার রাতে র্যাব-১৪-এর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ জেলখানা রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার পর শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ মে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের ভারতী বাজারের মুদি দোকানদার শাহ আলম পার্শ্ববর্তী সাখুয়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে শামছুল কবীর সবুজের (৪০) কাছে দোকানের বাকি বাবদ ৪ হাজার টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বাজারের লোকজন দুপক্ষকেই থামিয়ে দেয়।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে আসামিরা আবারো শাহ আলমের দোকানের সামনে এসে গালমন্দ করতে থাকে। এসময় শাহ আলমের চাচা মহিউদ্দিন আজাদ মানিক আসামিদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করেন। তখন আসামিরা উত্তেজিত হয়ে পাশের মিষ্টির দোকান থেকে কাঠের চেলা এনে মানিককে মারপিঠ শুরু করে। এমন সময় শাহ আলমের আরেক চাচা আজিজুল হক (৩৯) এগিয়ে এসে মারপিঠ করতে তাদেরকে নিষেধ করে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা আজিজুল হককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্বজনরা আজিজুল হককে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মৃত্যু হয় আজিজুল হকের।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসা: জোসনা আক্তার (৩২) ১২ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার ময়মনসিংহ থেকে আসামি আমিনুল ইসলাম মাখনকে আটক করে র্যাব-১৪।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার আসামিকে র্যাব আটক করার পর থানায় হস্তান্তর করে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা