জামালপুরের অস্তিত্বহীন এনজিওর ৩ প্রতারক কারাগারে
- ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৯
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দরিদ্র মানুষের অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে অস্তিত্বহীন এক এনজিওর তিন প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এনজিওর নাম ভাঙিয়ে এ আত্মসাৎ করে।
কথিত এনজিওর প্রতারকরা হলেন জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নলছিয়া গ্রামের আব্দুস সালাম মণ্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৪), ঝাড়কাটা নলছিয়া গ্রামের মরহুম বাহাজউদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান আনিছ (৪৭) এবং চর গোপালপুর গ্রামের মরহুম শামছুল মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩১)।
জানা যায়, দরিদ্র মানুষের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামপুর থানার মামলায় জামালপুর আদালতের সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার বিকেলে ইসলামপুর থানায় উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের কাশারীডোবা গ্রামে মরহুম হোসেন মণ্ডলের ছেলে ভুক্তভোগী শাহজাহান মন্ডল প্রতারণার মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘পল্লী দারিদ্র কল্যাণ সংস্থা ঝাউপাড়া, কানাডা, বাংলাদেশ সংস্থা’ (এনজিও)-এর কর্মী পরিচয়ে যমুনা দুর্গম চারঞ্চল সাপধরী এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে তিন প্রতারকরা লোকজনকে আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন অংকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।
ইতোমধ্যে প্রতারকরা এনজিওর সদস্য করে গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগীসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতারক চক্রটি অর্ধশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে মাথাপিছু ৩০০- ৫০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
শনিবার বিকেলে তাদের আচরণ-আচরণে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। পরে প্রতারকদের কাছে এনজিওর পরিচয়পত্র দেখতে চান স্থানীয়রা।
এ সময় কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে প্রতারক চক্র। পরে উপস্থিতি লোকজন তিন প্রতারককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। গভীর রাতে ইসলামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তিন প্রতারককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ‘এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের মামলায় আদালতে হাজির করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তিন প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা