২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ঘাতক গ্রেফতার

অন্য ছবিটি ঘাতক সন্ত্রাসী রুবেল। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে একই ইউনিয়নের নিজ গ্রামে লাশ আনার পর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহাম্মেদ দিপ্ত সোমবার রাতেই সন্ত্রাসী রুবেলকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

নিহত হারুন অর রশিদ একই ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মরহুম খোরশেদ আলমের ছেলে।

ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো: শাহাব উদ্দিনের ছেলে। তবে উভয়ই গয়েশপুর বাজারে পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করতেন।

এ মামলায় আরো তিন-চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। মামলার পর পুলিশ হেফাজতে থাকা রুবেলকে (৩৫) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহাম্মেদ দিপ্ত জানান, আমার বাবাকে সন্ত্রাসী রুবেল কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে রামদা নিয়ে উল্লাস করেছে। আমি হত্যাকারী রুবেলের ফাঁসি চাই।

পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ছেলে দিপ্ত রোবেলের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতার পিটুনিতে গুরুতর জখম হন ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার। পুলিশ হেফাজতে থাকা আহত রুবেলকে ঢাকার আগারগাঁও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে তবে নিহত হারুন অর রশিদের সাথে রুবেলের নারী ঘটিত বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে।
এ দিকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের শেষে বাড়ি আনার পর শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করে। বাদ এশা নিজ বাড়িতে নিহত হারুন অর রশিদের নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর গয়েশপুর বাজারসহ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকাশ্যে দিবালোকে উপজেলার গয়েশপুর বাজারের পরিত্যক্ত সনি সিনেমা হলে সামনে হারুন অর রশিদকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী রুবেল। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতার উত্তেজিত হয়ে ঘাতক সন্ত্রাসী রুবেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এবং বাড়ি থেকে রুবেলকে ধরে জনতা বেধড়ক পিটুনির সময় মা বিউটি আক্তার (৪৮) এগিয়ে এলে জনতা তাকেও পিটুনী দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এবং রুবেলকে পুলিশ হেফাজতে নেন। এ সময় তিনজন পুলিশ আহত হন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল