বোমা ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি : ২৫০ ভরি সোনা লুট

ময়মনসিংহের ভালুকায় বোমা ফাটিয়ে সোনার দোকানের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা লুট করেছে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাদল। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুরুতর আহত হন।

বুধবার রাত ৯ টায় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রদীপ জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দোকান মালিককে উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

দোকান মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় চার থেকে পাঁচ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল একটি প্রাইভেটকারে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সে ডুকে দোকান মালিক ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রের মুখে আটক করে। প্রায় ২৫০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিকের মাথায় আঘাত করে বেশ কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। এ সময় বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে এক পথচারী আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত দোকান মালিককে উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়ার দোকান মালিক শাহিন জানান, পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরনের বিকট শব্দে আশপাশ এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। তবে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে পাঁচজন লোক দোকানে ডুকেছে। পরে গিয়ে দেখি দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং দোকানের সব সোনা লুট করে নিয়ে যায়।

আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারের ভাই সুধীর কর্মকার জানান, ‘আমার ভাইয়ের ও আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আটক করে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।’

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভালুকা পৌর সদরে সন্ধ্যার সময়ে ব্যস্ততম এলাকায় এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান অভিযান চলছে।