নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো টেডএক্স ইভেন্ট

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ও সারা বাংলাদেশে ১৩তম বারের মতো আয়োজিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্ট টেডএক্স। টেড ইন্টারন্যাশনালের অনুমোদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনটি করেছে, যার নামকরণ করা হয় ‘টেডএক্স জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি’।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ত্রিশালের নজরুল অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এই ইভেন্টি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানের শুরুতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম উদ্বোধন সম্পন্ন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী ও প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান জনি। তারপর বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের দেশবরেণ্য ৯ জন বক্তা। তারা নিজেদের জীবন অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে কথা বলেন পুরো ইভেন্ট জুড়ে।

জানা যায়, আয়োজনে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী, স্থপতি ও শিক্ষিকা অপি করিম; এস্তোনিয়ান এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স-এর টেকসই উন্নয়নের সিনিয়র প্রভাষক ও লেখক আমিনুল ইসলাম; চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর কো-ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ এম. জাকির হোসেন খান; চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা আশফাক নিপুন; নেসলে বাংলাদেশ -এর কোম্পানি সেক্রেটারি দেবব্রত রায় চৌধুরী; বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল অঞ্চলের মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক; ইউএনডিপি বাংলাদেশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মো: আবদুল ক্বায়ুম; শিশু অধিকার কর্মী, জলবায়ু আন্দোলনকারী ও মাই গোল চ্যাম্পিয়ন ফাতিহা আয়াত এবং এভারেস্ট বেসক্যাম্প সাইক্লিং অভিযানের বিশ্ব রেকর্ডধারী তাম্মাত বিল খায়ের।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল বলেন, টেডএক্সের এই প্রোগ্রামে যেসব বক্তারা ছিলেন তাদের বলা কথাগুলো আমাদের জীবনের পথ দেখিয়েছে। আমাদের ভবিষ্যতে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো অনুপ্রেরণা জুগাবে। আমার মনে হয় এমন ইভেন্ট একজন শিক্ষার্থীর জীবনে খুব বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে।

এ বিষয়ে ইভেন্টটির লাইসেন্সি এবং লিড অর্গানাইজার আবুল আবছার বাপ্পি বলেন, এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা, যাতে তারা নিজেদের সৃজনশীল শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণকারীদের একটি মঞ্চ দিয়েছে, যেখানে তারা অনুপ্রেরণাদায়ী গল্প শুনতে পেরেছে এবং সৃজনশীল চিন্তাধারার গভীরতায় ডুব দিতে পেরেছে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীরা উদ্যোক্তা, শিল্পী, গবেষক ও কমিউনিটি লিডারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ডান্স ক্লাবের একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল।

উল্লেখ্য, টেড এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে কনফারেন্স আয়োজন করে। যেখানে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কথা বলেন। যা মানুষকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। টেডএক্স মূলত টেড ইন্টারন্যাশনালের অনুমোদনে স্থানীয় পর্যায়ে এইসব আয়োজনের সুযোগ করে দেয় যেনো টেডের মূল ভাবনা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়।