ছাত্রলীগকে সরকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:৩৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর সারা দেশে ছাত্রলীগের হামলার মাধ্যমে সরকার সংগঠনটিকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা বলেন, দেশের যেকোনো নাগরিক তার দাবি তুলে ধরতে পারেন। বলপ্রয়োগ করে তাদের কণ্ঠরোধ করার প্রক্রিয়া গণতন্ত্রবিরোধী। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠনটি ন্যক্কারজনক এই হামলার মাধ্যমে একদিকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, অপরদিকে তারা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনে হামলার সাথে জড়িতদের বিচার হওয়া দরকার। না হলে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বলতে অবশিষ্ট কিছু থাকবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটা অসাংবিধানিক। বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সংবিধানে বলা আছে, অনগ্রসর গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কোটা দেয়া যেতে পারে। তবে বৈষম্য দূর করার নামে ৫৬ শতাংশ কোটা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিকে চাকরি দেয়ার সিদ্ধান্ত বড় বৈষম্য। তাই আমি মনে করি শুধু আন্দোলনরত শিক্ষার্থী না, যাদের ন্যূনতম জ্ঞান আছে এই দাবি তাদের সবার। আমি বিশ্বাস করি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের এই আন্দোলনে সমর্থন আছে। তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বেড়ায়। কিন্তু তারা সর্বদা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আর সেটার প্রমাণ হলো ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আজকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা। আমি স্পষ্টভাবে বলব, ছাত্রলীগ আজ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তা গণতন্ত্রবিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা