মেয়র পদ হারালেন ভবানীগঞ্জ পৌর আ’লীগ সভাপতি
- রাজশাহী ব্যুরো
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব আব্দুর রহমান এতে সই করেন।
আবদুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক তার ফুফাতো ভাই। আবদুল মালেক পরপর দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্যানেল মেয়র-১ হাচেন আলীকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের এই কপি প্রকাশ করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯ সালে পৌরসভার চারটি প্যাকেজের কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন না করেই চেক তুলে নেন মেয়র আবদুল মালেক।
২০২২ সালে কাজ না করেই কোটেশনের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পৌর ভবনের নির্মাণকাজ ঠিকাদারের পরিবর্তে নিজেই করেছেন আবদুল মালেক। স্বাক্ষর করে তিনি নিজে বিলও তুলেছেন।
এ ছাড়া আদায় করা পৌরকর আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম, পৌরসভার ট্রাক, রোলার ও অন্যান্য যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং পৌর এলাকার সড়কে যানবাহন থেকে স্লিপের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ৩১ (১) ধারা মোতাবেক আবদুল মালেককে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।