প্রকৃতি নিধন বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিবেদক
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০
‘প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে সারা দেশে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। পরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রকৃতি নিধনের প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা শুভ কিবরিয়া বলেন, দেশে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়। দেশের উন্নয়নের নেপথ্যের গলদ প্রকৃতিকে বিপদে ফেলছে। কিছুদিন আগে থেকে দেশে তাপদাহ চলছে। সেখানে লক্ষ করা গেছে গাছের প্রয়োজনীয়তা। যে গাছ আমাদের নিঃশ্বাস দিচ্ছে। সেই গাছকেই আমরা ধ্বংস করছি। বর্তমানে আমাদের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে হবে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবীর বলেন, ২০২১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে দোকান ও স্থাপনা গড়ার প্রতিবাদ জানিয়েছলাম। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাছ লাগিয়ে বলেছিলেন, গাছ না লাগালে, সুন্দরবনের পরিচর্যা না করলে বাংলাদেশ টিকবে না। কিন্তু সরকার আজ উন্নয়নের পরিকল্পনা করতে গিয়ে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছে। ঢাকায় যেখানে ২৫ ভাগ বনায়ন থাকার দরকার সেখানে ৭ থেকে ৮ ভাগ রয়েছে। সেটাও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ার মাধ্যমে নিধন করার পাঁয়তারা চলছে।
গ্রিন ভয়েসের আরেক উপদেষ্টা ডক্টর আহম্মেদ কামরুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক পরিবেশ নিয়মিত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের হাওয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশের ওপর বয়ে যাওয়া হিট ওয়েভ জানান দিয়েছে প্রকৃতির সাথে অবিচার পরিণতি কী হতে পারে। বর্তমানে যে তাপমাত্রার অবস্থা সেটা মধ্যপ্রাচ্যের তাপমাত্রাকেও হার মানাচ্ছে। প্রকৃতি নিধন চলতে থাকলে এই তাপমাত্রা আরো উপরে উঠবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র দিয়ে কারো রক্ষা হবে না। আজ থেকে ২৫ বছর আগে যে বনায়ন ছিল তার ৬০ ভাগ সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে। এখন প্রকৃতি না বাঁচালে আমাদের অস্তিত্বও সঙ্কটে পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছকাটা বন্ধ করে রেস্তোরাঁ স্থাপনের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনের পর থেকে গ্রিন ভয়েসের উদ্যোগে ৭ মে কে ‘প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস’ হিসেবে প্রতি বছর করা হয়।