১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফরিদপুরে নকল শিশুখাদ্য ও ওষুধ কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

-

শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর শহরের মামুদপুর এলাকায়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো: লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত। অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কারখানাটি।
গতকাল শনিবার দুপুরে ফরিদপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এলাকায় জুসের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মুজিবুল ইসলাম।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের মধ্যে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে জুস তৈরি। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধু বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এবং রঙ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস। ফরিদপুরে এমনই একটি আদালত সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল দিয়ে জুস বানিয়ে ফলের জুস হিসেবে বাজারজাত করছে পৌরশহরের মাহমুদপুর এলাকার একটি বাড়িতে গোপন কারখানায়। অভিযানকালে ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে দেখা যায়, ভেতর থেকে বাড়ির দরজা আটকানো। দরজায় কড়া নাড়লেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার পর ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন। নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ওষুধও বোতলজাত করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement