কুরআনের মাধ্যমে আন্দোলনকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে : মাওলানা আবদুল হালিম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, দায়িত্ব কোনো পদ নয়, বরং জবাবদিহিতার নাম হলো দায়িত্ব। সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে। ইউনিট দায়িত্বশীলদেরকে জ্ঞান ও আমলে অন্যদের কাছে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপিত হতে হবে। কুরআনের মাধ্যমে আন্দোলনকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কথা ও কাজের মধ্যে বৈপরীত্য রাখা যাবে না। দায়িত্বশীলরা সময়ের অপব্যবহার বা অপচয় করবেন না, বরং সময়ের যথাযথ ব্যবহার করবেন।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা আয়োজিত ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আমির প্রভাষক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দারসুল কুরআন পেশ করেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডক্টর খায়রুল আনাম। বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রটারি হাফেজ শাহ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু প্রমুখ। বৈঠক সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো: আবু তাহের।
বৈঠকে বক্তারা আরো বলেন, আমাদেরকে সামগ্রিক জীবনে তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করতে হবে। খুশু-খুজু সহকারে নামাজ আদায় করতে হবে। পবিত্র মাহে রমজানকে আত্মগঠনের কাজে লাগাতে হবে, তাকওয়া অর্জনের কাজে লাগাতে হবে। শিরক, বিদায়াত ও গীবতমুক্ত জীবন গঠনসহ সকলের হক আদায়ের ব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
তারা বলেন, আমাদেরকে মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দিতে হবে। গালির জবাব গালি দিয়ে দেয়া যাবে না এটাই কুরআনের শিক্ষা। যে ক্ষতি করবে তার উপকার করাই উত্তম সৎকর্ম। নেতৃবৃন্দ বলেন, আদর্শিক কর্মী তৈরি করতে পারলেই আদর্শ বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। এজন্য প্রয়োজন অনেক বেশি অধ্যয়ন আর আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলা।