২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঢাবিতে দ্বিতীয় বর্ষের দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কয়েকটি হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত শিক্ষার্থীর নাম জোবায়ের ইবনে হুমায়ুন। তিনি ২০২০-২১ সেশনের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এবং স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদদীন হল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আমরা মাঠের একপাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি ১০ থেকে ১৫ জন ছেলে মিলে একজনকে লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। পেটানোর একপর্যায়ে ওই ভুক্তভোগীর মাথা, নাক ও কপালসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীকে কয়েকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে যোবায়েরের সহযোগী বিজয় একাত্তর হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে আরো লাঠিসোটা নিয়ে হাজির হলে মুহূর্তেই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। তবে এ সংঘর্ষে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মারধরের সঠিক কারণ জানা না গেলেও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোবায়ের জানায়, আমাকে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হয় যে তুই কই আছিস বল। তখন আমি বললাম জিয়া হলের দিকে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ জন ছেলেপেলে এসে আমাকে বেদম প্রহার করতে থাকে। উপর্যপুরি কিল ঘুষি এবং ইট দিয়ে আঘাত করে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
জোবায়ের বলেন, মারধরের নেতৃত্বে ছিল তবারক, সাহিল ও অর্ণব নামের তিন শিক্ষার্থী। তবারক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের, অর্ণব হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী। পূর্বে অর্ণবের সাথে ব্যক্তিগত একটা সমস্যা ছিল। সেটার জের ধরেই আমাকে মারধর করে। সাদ নামের আরো একজন অভিযুক্তের নামও উল্লেখ করেন জোবায়ের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন জানলাম। মেডিক্যালে আমার টিম পাঠিয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement