১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বরিশাল বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ ঝালকাঠির ইউপি চেয়ারম্যান আটক

-

ইয়াবা ট্যাবলেট গিলে ফেলেও রক্ষা হয়নি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের। অবশেষ তাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে যেতে হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামীম আহমেদ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার। তিনি বলেন, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক রাতে একটি লিখিত অভিযোগসহ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে থানা পুলিশে সোপার্দ করেন। সেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয় এবং মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঝালকাঠির কয়েকটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আবু সাঈদ খান ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরের ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি।
বরিশাল বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো: আবদুর রহিম তালুকদারের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী নভো এয়ার বিমানের যাত্রী ছিলেন আবু সাঈদ খান। বিমানবন্দরের সর্বশেষ চেকিং গেট অতিক্রমকালে স্ক্যানার মেশিনের পরীক্ষার মাধ্যমে আবু সাঈদ খানের ব্যাগে লাইটার দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় তাকে লাইটারটি বের করতে বললে তিনি নেই বলে জানান। তারপর ব্যাগটি আবার মেশিনে দেয়া হলে লাইটারের পজিশন নিশ্চিত করা হয়।
এরপর আবু সাঈদ খান ব্যাগ থেকে হলিউড ব্র্যান্ডের একটি সিগারেটের প্যাকেট বের করেন, যার মধ্যে লাইটারটি ছিল। লাইটার দেয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীরা দেখতে পান সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে কালো কার্বনে মোড়ানো কিছু একটা আছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আবু সাঈদ খান কার্বনে মোড়ানো বস্তুটি বের করে খেয়ে ফেলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিমানবন্দর নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে স্বীকার করেন সেগুলো ইয়াবা ছিল।
বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সিভিল এভিয়েশন সদর দফতরে জানালে আবু সাঈদ খানের বোর্ডিং বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো: আবদুর রহিম তালুকদার ‘নিরাপত্তা তল্লাশির সময় মাদকসহ যাওয়ার চেষ্টা করা ও আলামত নষ্ট করার অভিযোগে’ বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পাশাপাশি যাত্রী আবু সাঈদ খানকে পুলিশের হাতে সোপার্দ করেন। এরপর পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায়।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল