২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

নির্যাতিত নিপীড়িত ব্যক্তি ও নারী শিশুরা যেন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হন : প্রধান বিচারপতি

-

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি, বিশেষভাবে নারী ও শিশুরা যেন বিনামূল্যে আইন সহায়তা থেকে যেন বঞ্চিত না হন, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা : চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইনগত সহায়তা পাওয়া কোনো দান বা করুণা নয়, এটা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের অধিকার, আর রাষ্ট্রের এক অপরিহার্য দায়িত্ব। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থদের আইনগত সহায়তা দিতে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার একটি সার্বজনীন মৌলিক মানবাধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং দরিদ্রবান্ধব ও জনকল্যাণকর বিচারব্যবস্থার অন্যতম শক্তি হলো লিগ্যাল এইড তথা আইনগত সহায়তা প্রদান। আইনের দৃষ্টিতে সমতার যে বাণী আমরা বারবার প্রতিধ্বনি করি, আইনগত সহায়তা ছাড়া তা কখনোই বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়।
বিনামূল্যে আইন সহায়তা দেয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯০ জনকে বিভিন্নভাবে লিগ্যাল এইড প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ কমিটি ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে লিগ্যাল এইড প্রদান করেছে। লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন প্রতিটি ল স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার ড. মো: জাকির হোসেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক আমিনুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী শাহীন আনাম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement