চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার আরো ৩
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও মির্জাপুর সংবাদদাতা
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৪
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিত (২৯), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো: সবুজ (৩০) ও ঢাকার সাভারের টান গেণ্ডা এলাকার শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)।
তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিতের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি এবং ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে এ ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করা হলেও তাদের জামিন দেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন ও দামি জিনিসপত্র লুট করে নেয়। পরে বাসে থাকা দু’জন নারীর শ্লীলতাহানি ঘটায় ডাকাতরা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি এবং ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।