আসামিদের মুক্তির অসত্য খবর প্রকাশ ভারতীয় মিডিয়ায়
- গ্লোবাল নিউজ
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সন্দেহভাজনদের মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অসত্য খবর প্রকাশ করেছে। যদিও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত চার ভারতীয় নাগরিককে বিচার-পূর্ব হেফাজতে রাখা হয়েছে, তবুও কয়েক ডজন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভুলভাবে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে।
কানাডা সম্পর্কে ভারতীয়দের বিভ্রান্তিকর তথ্যের ছড়াছড়ির একটি নাজুক সময়ে কানাডার গ্লোবাল নিউজ নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত ওই চারজনের জামিনের এই সংবাদের কোনো সত্যতা নেই। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার আরসিএমপির মুখপাত্র করপোরেশনাল আরাশ সৈয়দ বলেন, হ্যাঁ, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হওয়ায় সব সন্দেহভাজন এখনো হেফাজতে রয়েছে। আরসিএমপির ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিমের মুখপাত্র সার্জেন্ট ফ্রেডা ফংও নিশ্চিত করেছেন যে চারজন অভিযুক্ত এখনও হেফাজতে আছেন।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে সন্দেহভাজনরা আটক রয়েছেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের নিউ ওয়েস্টমিনস্টার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস এবং আরো অনেক শীর্ষ ভারতীয় সংবাদ সূত্র দাবি করেছে যে অভিযুক্ত খুনিরা আর আটক নেই। সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে দাবি করা হয়, খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার ভারতীয়কে জামিন দিয়েছে কানাডার আদালত। সম্প্রতি আদালতে চার অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কলম্বিয়া শীর্ষ আদালতে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। নিজ্জর-হত্যায় অভিযুক্তরা সবাই ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাদের নাম ব্রার, কমলপ্রীত সিংহ, করণপ্রীত সিংহ এবং আমনদীপ সিংহ। তাদের বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের পরিকল্পনার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তার তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাকে হত্যা করা হয়। এর পরেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৎকালীন ট্রুডো সরকার।
চিড় ধরে ভারত-কানাডা সম্পর্কেও। ট্রুডোর ওই অভিযোগের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদি কানাডাকে পাল্টা দোষারোপ করেন বিচ্ছিন্নতাবাদী, খলিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। এর পরেই নিজ্জর-খুনে জড়িত সন্দেহে ২০২৪ সালের মে মাসে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশের ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম (আইএইচআইটি)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা