ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের ৪৩ বিঘা পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে
- ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের প্রায় ৪৩ বিঘা পুকুর প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছেন। উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের গদাই রূপসী গ্রামের জামে মসজিদের ওই সম্পত্তি ওয়াকফ অ্যাস্টেট অন্তর্ভুক্ত হলেও মসজিদের মোতাওয়াল্লিকে সেই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। মসজিদ কমিটির নামে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুগ যুগ ধরে মসজিদের ওই পুকুরগুলো নিজেদের দখলে রেখে লাভবান হচ্ছেন।
জানা গেছে, গদাই রূপসী গ্রামের জামে মসজিদটির নামে বড় বড় চারটি পুকুর রয়েছে। যার আয়তন ১৪ দশমিক ৫২ একর বা প্রায় ৪৩ বিঘা। সেখানে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়। এখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আয় হয়। অর্জিত আয়ের নামমাত্র অংশ মসজিদে দিয়ে বেশিরভাগই প্রভাবশালীরা নিজেদের পকেটে নিয়ে নেন।
গত ২০০৭ সালে এই মসজিদের সব সম্পত্তি ওয়াকফ অ্যাস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ওই গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিযুক্ত হন। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রভাবশালীদের দাপটে তিনি মসজিদের সম্পত্তি দেখভালের জন্য সক্রিয় হতে পারেননি।
মোতাওয়াল্লি মোতালেব হোসেন বলেন, আগের কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ গং প্রতি তিন বছর অন্তর মসজিদের পুকুরগুলো লিজ দেন এবং এখান থেকে পাওয়া প্রায় ২০ লাখ টাকা নিজেরাই হাতিয়ে নেন। মোতাওয়াল্লি নিযুক্ত হওয়ার পর তিন বছর চলে গেলেও তিনি দায়িত্ব বুঝে পাননি। উপরন্তু তাকে মামলা-হামলার ভয় দেখানো হচ্ছে।
অপরদিকে মসজিদ কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী সম্পত্তির মালিক গদাই রূপসী জামে মসজিদের। তাই তারা ওয়াকফ অ্যাস্টেটের মোতাওয়াল্লির কাছে দায়িত্ব বুঝে দিতে রাজি নন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছা: নাজমুন নাহার ঘটনার বিষয়ে বলেন, গদাই রূপসী জামে মসজিদ পরিচালনায় মোতাওয়াল্লিসহ সদস্যরা সক্রিয় হলে তিনি প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা