ঢামেকে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃত স্বজনদের সাথে চিকিৎসকের হাতাহাতির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার মধ্যরাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এ হাতাহাতি হয়। এতে এক চিকিৎসকের মামলা দায়েরের পর শম্পা আক্তার (৩৯) নামে এক রোগীর স্বজনকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
ঢামেক সূত্র জানায়, গত রোববার দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা মাসিক ভাতা দ্বিগুণের দাবিতে দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি, মাসিক ভাতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা। তাদের কর্মবিরতির ফলে চিকিৎসক সংকটে সেবাবঞ্চিত হয়েছে। ফলে গ্রেফতার শম্পা অভিযোগ তুলেন, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই তার স্বজনের মৃত্যু হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ হাসান জানান, এক চিকিৎসকের সাথে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতি হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ডা: মানার হাফিজ মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। এতে অভিযুক্ত শম্পাকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
গত কয়েক দিন ধরে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট। এ কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব রোগীর স্বজনরা বলেন, দুই দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। পরে জানতে পেরেছি কিছু চিকিৎসক বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। তারা বর্তমানে কর্মবিরতিতে আছেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট অবহেলায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় নিউরোসার্জারি বিভাগের কয়েকজন চিকিৎসক আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে হাফিজা আক্তার বলেন, ‘আমার মা স্ট্রোক করায় গত ২১ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকা মেডিক্যালের দ্বিতীয় তলার ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মায়ের অবস্থা ভালো না, আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় আইসিইউ খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। ভর্তির পর আমার মা বেড না পেয়ে ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অক্সিজেন সাপোর্টও পাচ্ছিলেন না।’
গত রোববার সারা দিন কোনো চিকিৎসক রোগীর কাছে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন হাসপাতালে ছিল আমার খালা শম্পা ও খালু নাজির হোসেন। রাতে আমি বাসায় ছিলাম। ১০টার দিকে খালা ফোন করে জানান মায়ের অবস্থা ভালো না। এটি শুনে আমি দ্রুত হাসপাতালে আসি। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: মানার হাফিজ আসেন ২০০ ওয়ার্ডে রোগীর কাছে। চিকিৎসক রোগী দেখে জানান আমার মা আর নেই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা