পাটকলসহ সব বন্ধ মিল খুলে দেয়ার দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬
অবিলম্বে পাটকলসহ সব বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। সেই সাথে অন্যান্য বন্ধ কারখানা উপযুক্ত আধুনিকীকরণের মাধ্যমে খুলে দেয়ার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানোনো হয়।
জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৬টি বন্ধ চিনিকল খুলে দেয়ার বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করা ও পরবর্তী করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিনি কলগুলো চালু করার বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা আব্দুল্লাহ কাফি রতন।
তিনি বলেন, শাসক শ্রেণীর সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর নয়া উদারবাদী নীতির লক্ষ্যই হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেয়া। ক্ষমতাসীনদের এ নীতি সরাসরি শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের ওপর আক্রমণ। এ আক্রমণ কেবলমাত্র শ্রমিক আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলন দিয়ে মোকাবেলা করা যাবে না। এ লড়াই জাতীয় সম্পদ রক্ষার লড়াই। জনগণের সম্পদ জনগণের মালিকানায় রাখার লড়াই। কতিপয় লুটেরা ধনিক ও তাদের অনুগ্রহভোগী রাজনৈতিকদের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াই। সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষাকারী সরকারের গণবিরোধী নীতিকে রুখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের নতুন পথ দেখিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী লড়াই সমাজের সর্বত্র বিস্তৃত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষায় শিল্প ও শ্রমখাতে বৈষম্যবিরোধী লড়াই নতুন উদ্দীপনা পেয়েছে। জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ একই সাথে শিল্প মন্ত্রণালয় ও পাট মন্ত্রণালয়ে যথাক্রমে বন্ধ চিনি ও পাটকল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল। সরকার চিনিকল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে লড়াইয়ে বিজয় শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, শ্রমিকনেতা মানস নন্দী, কৃষকনেতা ও আখচাষি আলতাফ হোসেন, শ্রমিকনেতা কামরুজ্জামান ফিরোজ, হারুনর রশীদ ভূঁইয়া, শামীম ইমাম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা