২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নতুন করে তদন্তের জন্য পদক্ষেপ নিতে মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত

-


রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন। আদালত যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলেছেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায় বাতিল করে এ রায় ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের এ রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, এটা এ দেশের ইতিহাসের এক জঘন্য মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাদের রূহের শান্তির জন্য ন্যায্য বিচার সম্পন্ন করতে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, যা আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

পর্যবেক্ষণে আদালত আরো বলেন, আমরা মনে করি, মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত যাতে একটি সঠিক এবং বিশেষজ্ঞ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয় যাতে মামলায় ন্যায়বিচারের সঠিক প্রশাসন থাকে। উপরোক্ত পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এই আদেশের একটি অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হোক।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

গত ১ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ও অন্যান্য দণ্ড পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় রায়ে বিচারিক আদালত মোচ ৪৯ জনকে সাজা দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাদের প্রত্যেককে খালাস দিয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট সবার আপিল মঞ্জুর করেছেন। রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। সবাইকে এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায়ের পর্যক্ষেণে যা বলেছেন আদালত ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী নেই, যে কাউকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে দেখেছে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। বিচার চলা অবস্থায় আগের সব ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে নতুন ঘটনার জন্মদিয়ে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আইন সম্মত নয়।
আদালত বলেছেন, দ্বিতীয় যে তদন্ত রিপোর্ট সেটা জমা হয়েছে বিচারিক আদালতে। এটা জমা হওয়ার কথা ছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আইনে আছে আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে আমলে নিতে হবে। তারপর বিচারিক আদালতে পাঠাতে হবে। এই কারণে আমলে গ্রহণের আদেশটা এটা শুরু করে পরবর্তীতে যা হয়েছে তার সবই আইন বহির্ভূত।

আদালত আরো বলেছেন, আসামিদের যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়া হয়েছে তা স্বেচ্ছায়ও না এবং সত্যও নয়। কারণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী একটার সাথে আরেকটাকে সমর্থন করে না বা মিল নেই।
এ ছাড়া আদালত বলেছেন, এই ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী নেই। যে নাকি কাউকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে দেখেছে। এখানে সাজা দেয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করার জন্য। সাক্ষ্য আইনের ১০ ধারা প্রয়োগ করে সাজা দেয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করার কারণে। এখানে উচ্চ আদালত দেখিয়েছেন ১০ ধারা প্রয়োগ করতে হলে ওই ষড়যন্ত্রে যারা অংশ নিয়েছে তাদের কারো সাক্ষ্য প্রয়োজন হবে। যারা মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। আদালত বলেছেন এ ধরনের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ এখানে নেই। এখানে আদালত মোবাইল কাদের ও বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার রেফারেন্স দিয়েছেন। ওই মামলাতেও সাক্ষ্য আইনের ১০ ধারা ব্যাখ্যা করে আদালত বলেন, ওই মামলাগুলোতেও আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত রায়ে সহ ষড়যন্ত্রকারীর দায়ে সাজা দেয়া হয়নি।
আদালত আরো বলেছেন, যারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে তারা তাদের সবাই কোনো না কোনো সময় টিএফআই (টাক্সফোর্স ইন্টেলিজেন্স) সেলে ছিল। কেউ ৬০ দিন, কেউ ২৬১ দিন ছিল। আদালত এ প্রশ্ন তুলেছেন, টিএফআই সেল গঠনের আইনগত ভিত্তি নেই। টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে এই মর্মে কোনো আইন নেই।

আদালত বলেছেন, শুধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিদের সাজা দেয়া যায় না। একই সাথে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্র প্রমাণ করা যায় না।
আদালত আরো বলেছেন, আসামিকে সাজা দিতে হলে ডকুমেন্টারি এভিডেন্স, মৌখিক সাক্ষ্য প্রয়োজন হবে এবং পারিপার্শিক সাক্ষ্য লাগবে। এই মামলায় এই তিন প্রকারের এভিডেন্সের কোনো মানদণ্ড রক্ষা করা হয়নি। না মৌখিক সাক্ষ্য আছে, না ডকুমেন্টারি এভিডেন্স বা পারিপার্শিক সাক্ষ্য আছে।
আইনে আছে ডেথরেফারেন্স নিষ্পত্তি করতে যেয়ে যদি দেখা যায় কোনো ব্যক্তি আপিল করেনি কিন্তু মামলায় আছে তারাও বেনিফিট পেতে পারেন। যদিও তারা আপিল না করেন। এ জন্য এই মামলায় তারেক রহমানসহ যারা আপিল করেনি তাদের সবাই খালাস পেয়েছেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান।

বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে
রায় ঘোষণার পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে। বিচারিক আদালতে আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি। কোনো সাক্ষীর সাথে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে। আপিল মঞ্জুর করে ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি বলেন, এ মামলার ২২৫ জন সাক্ষীর কেউ বলেনি কে গ্রেনেড মেরেছে। বা তারা কেউ মেরেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলার বিচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, একই ব্যক্তি একই মামলায় দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী এই ভারতীয় উপমাহাদেশে ৪০০ বছরের ইতিহাসে কোনো আদালত গ্রহণ করেনি। এই জন্য এই বিচারটা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: জসিম সরকার। রায়ের সময় হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মো: মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। এ ছাড়া রায় ঘোষণার সময় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী, আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হয়। গত ১৮ আগস্ট দ্বৈত বেঞ্চটি অবকাশ শেষে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর অবকাশ শুরু হয়। অবকাশ শেষে ২০ অক্টোবর আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হয়। অবকাশ শেষে খোলার পর ২৪ অক্টোবর দ্বৈত বেঞ্চ বসে। সেদিন বেঞ্চটি ডেথ রেফারেন্স ও আপিল কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে প্রধান বিচারপতি ডেথ রেফারেন্স শুনানি-নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান। এই বেঞ্চে ২৭ অক্টোবর মামলাটি পাঠানো হয়। পরদিন এই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ডেথ রেফারেন্স ওঠে।
ঘটনার বিবরণ : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।
মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে কারাভোগ শেষে ফিরল ১৫ বাংলাদেশী নারী-শিশু ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিভ্রান্তিকর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কত টাকা বেতন পান সুনীতা উইলিয়ামস? জার্মানির ক্রিসমাস বাজারে গাড়ির তাণ্ডবে নিহত ২, আহত ৬৮ গাজায় কী করবেন ট্রাম্প? সিরিয়ার নতুন নেতার গ্রেফতারে কোটি ডলার পুরস্কার প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনূসসহ ২০ জন উপদেষ্টার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর ভুয়া এটিজেএফবি’র সভাপতি তানজিম, সাধারণ সম্পাদক বাতেন নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি আল আজহার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

সকল