ইসি সচিব শফিউল আজিম ওএসডি বঞ্চিতদের ২ কর্মকর্তা হলেন সচিব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করল সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-১ এর উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়। এ দিকে দীর্ঘদিন বঞ্চিতদের মধ্য থেকে দুই কমর্কতা সচিব হয়েছেন।
ওএসডি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইসি সচিব শফিউল আজিমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে পদায়ন করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।
গত ২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। বিমান ও ব্রুনাইয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) থাকাকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় এবং টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পতিত হাসিনা সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছিল দুর্নীতির আখড়া। রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের উড়োজাহাজ, যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে সব রকম ক্রয়েই ছিল অনিয়ম। শুধু তাই নয়। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ফ্লাইটে খাবার সরবরাহে অপকর্ম, নতুন সফটওয়্যার ক্রয়ে নিয়ম ভঙ্গ করার পাশাপাশি এসব কাণ্ডে জড়িতদের যথাবিচারের মুখোমুখি না করে বরং দায়মুক্তির নজিরও রয়েছে ভূরি ভূরি। তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের বিমানের খরচে বাড়তি সুবিধা দিতে গিয়ে অসংখ্যবার আর্থিক অনিয়ম করা হয়েছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় বিমানের ডাক্তারকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় কোনো নিয়মনীতি না মেনেই। তৎকালে দায়িত্বে থাকা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অনেক অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, দোষীদের ছাড় ও অপকর্মে প্রশ্রয় দিতেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটাতেন। সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে ‘শেখ হাসিনাস ম্যান’ হিসেবে জাহির করতেন শফিউল আজিম। তাই তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ওই সরকারের আমলে কেউ মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পেতেন না। ক্ষমতার পালাবদলের পর, এখন একে একে বেরিয়ে আসছে তার যত অপকর্ম; মুখ খুলতে শুরু করেন বিমানের কর্মকর্তারা।
এর আগে ব্রুনাইয়ে থাকাকালে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর শফিউল আজিমের নির্যাতন চালানোর একটি ভিডিও ফুটেজও ফাঁস হয়। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয়ও তার প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রেখেছিল।
সচিব হলেন ২ কর্মকর্তা : এ দিকে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের দীর্ঘ বঞ্চিতদের মধ্য থেকে দুইজনকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে পদোন্নতি দিয়ে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখার উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা