০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`
বেনাপোলবাসীর দাবি

জুলাই গণবিপ্লবে শহীদ আব্দুল্লাহ নামে হাসপাতাল হোক

-


আব্দুল্লাহ গণবিপ্লবের শহীদ। নিজের জীবন দিয়ে দেশবাসীকে মুক্তির স্বাদ দিয়ে গেছেন।
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়সংলগ্ন বংশাল থানার সামনে কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে আবদুল্লাহর। ঘটনার পর প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়েছিল সে।
পরবর্তীতে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ঢামেক ওই দিন রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আবদুল্লাহর অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এরপর সুস্থ হলে দুই দিন পর তাকে রিলিজ দেয়া হয়।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর গ্রামের বাড়ি যশোরের বেনাপোলে গেলে আবদুল্লাহ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে আবারো ঢামেকে নেয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা আবদুল্লাহ মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান। এরপর দ্বিতীয় দফায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে অপারেশনেও অবস্থার উন্নতি না হলে গত ২২ আগস্ট আবদুল্লাহকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষ ১৪ নভেম্বর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ প্রতিবেদক ঢাকা থেকে তার পরিবারের খোঁজ নিতে যান। সেখানে গেলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। পরিবারের সব থেকে ছোট আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে শোকাহত সবাই। আব্দুল্লাহর মা কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে ফেলেছেন। একটু পর পর বিলাপ করছেন। ছেলে হারিয়ে আব্দুল্লাহর বাবা মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন।

ঢাকা থেকে বাসায় এলে যে রুমে থাকত আব্দুল্লাহ, সে রুম দেখাতে নিয়ে যান মা মাবিয়া খাতুন। ছেলের রুমে গিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না করতে করতে তিনি বলেন, আমার ছেলে তো নাই। দেশের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়া নাই। শুধু একটা চাওয়া আছে। আমাদের বেনাপোলে কোনো হাসপাতাল নাই। আমাদের কাছের হাসপাতাল শার্শা উপজেলা হাসপাতাল। এটা বেনাপোল থেকে ৪০ কিমি দূরে। আমাদের একটাই দাবি এখানে একটা হাসপাতাল করা হোক।
উপস্থিত শতাধিক মানুষ দাবি জানান একটা হাসপাতাল হোক। সেটির নামকরণ আব্দুল্লাহ নামে করার দাবি জানান তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ডা: আহাদ বলেন, আব্দুল্লাহদের জন্য আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আজকে শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে এসেছি তার মা-বাবাকে একটা ম্যাসেজ দেয়ার জন্য যে তাদের এক ছেলে দেশের জন্য শহীদ হলেও আমরা হাজার ছেলে তাদের পাশে আছি।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব বলেন, বেনাপোলে কোনো হাসপাতাল নাই। এখানের মানুষদের চিকিৎসা নিয়ে খুব কষ্ট করতে হয়। বেনাপোল পৌরসভায় ৫০ শতক জমি হাসপাতালের জন্য কেনা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি এখানে হাসপাতাল করতে চায় তাহলে আমরা এমওইউ করে জমিটি দিতে পারি। এখানে একটা হাসপাতাল সহজেই করা সম্ভব। আসলে এখানে একটি হাসপাতাল করলে মানুষের অনেক কষ্ট লাঘব হবে। হাসপাতালটি শহীদ আব্দুল্লাহর নামে করা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: আবু জাফর বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শহীদ ও আহতদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন। তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হবে। হাসপাতাল করার ব্যাপারে আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে কথা বলব।


আরো সংবাদ



premium cement
ইফার দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত ঢাকা ওয়াসার কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা আসিফ ২২ ফেব্রুয়ারি হাবের নির্বাচন রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে ২ জনকে হত্যা ৪২ লাখ টাকাসহ প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার ডিএমপি কমিশনারের সাথে য্ক্তুরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ তারুণ্যের উৎসবে স্থান পাচ্ছে জুলাই আগস্টের তথ্যচিত্র মৃত্যুবার্ষিকী : রফিকুল ইসলাম আধুনিক অটোমোবাইলস জোন প্রতিষ্ঠার দাবি ওয়েলফেয়ার অব ড্রাইভারস্ এন্ড মেকানিক্সের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ, আটক ৩ ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর

সকল