২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চিন্ময় ইস্যুতে মোদির সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠক

-


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি তুলে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ টানা আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ‘ইসকন নেতা’ হিসেবে পরিচিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটকের পর ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে ভারত সরকার চিন্ময় ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এবার একই ইস্যুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আলোচনা করতে গতকাল জয়শঙ্করের সাথে বৈঠক করেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে চলতি সপ্তাহে ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার’ এবং ‘চট্টগ্রাম জেলার একটি মন্দির ভাঙচুর’। বৈঠকের পর জয়শঙ্কর আজ শুক্রবার সংসদের উভয়কক্ষে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

এ দিকে চিন্ময়কে গ্রেফতার এবং জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার ও তাকে জামিন না দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সাথে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
ভারতের এমন বিবৃতির পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’
‘আমরা অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সাথে উল্লেখ করছি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থী।’


আরো সংবাদ



premium cement