দেশকে শক্তিহীন করার জন্য পিলখানা হত্যাকাণ্ড : পিএনপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:১৮
বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যেই মূলত পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল-পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পিলখানা হত্যার পুনঃতদন্ত, ষড়যন্ত্রকারীদের সেনা আইনে বিচার ও ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার দাবিতে পিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসঙ্ঘ মিশনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সম্মান কুড়িয়ে আনে বলে সার্বভৌমত্ব বিরোধীরা পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো ঘৃণ্য লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র।
পিএনপির চেয়ারম্যান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের নামে সুপরিকল্পিতভাবে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। দেশবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মির্জা আজম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের বিখ্যাত লেখক অবিনাশ পালিয়লের লেখা বই নিউ জার্নিশ বইয়ে স্পষ্ট লেখা আছে, নেত্র নিউজের আর্টিকেলও লেখা আছে এই হত্যার ষড়যন্ত্র পরিকল্পিত। আর এজন্য জেনারেল শাকিল আর্তচিৎকার করেও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে মৃত্যুকে মেনে নিলেন। তাই আমাদের দল মনে করে, এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করে সেনা আইনে বিচার ও ২৫ ফেব্রুয়ারি কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন পিএনপির যুগ্ম মহাসচিব টি এম কামরুল হাসান হৃদয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো: হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক হাজী মো: নুরুন্নবী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, কেন্দ্রীয় নেতা মো: আকমল আলী প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা