৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে টিসিবি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে সরকার। এজন্য মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি. এই চিনি সরবরাহ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ১ লাখ ৪৪ হাজার মে. টন চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। মোট চাহিদার প্রেক্ষিতে সারা দেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে ৫ হাজার মে. টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিবি।
এ জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে গত ৬ অক্টোবর উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) আহ্বান করা হয়। পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৬১(৫) অনুযায়ী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ, কার্যসম্পাদন বা ভৌত সেবার জন্য বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশের তারিখ হতে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের জন্য ন্যূনতম ২৮ দিন সময় ধার্য করা ছিল। পরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চলতি বছরের ৪ জুন টিসিবির জন্য স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের সময়সীমা ২৮ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন অনুমোদন করে। এর প্রেক্ষিতে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২১ অক্টোবর এবং দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ রয়েছে ২৯ নভেম্বর।

জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট উন্মুক্ত দরপত্রের বিপরীতে চিনির কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি এবং গত ২ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত দরপত্রে চিনির সর্বনিম্ন দরদাতা নন-রেসপনসিভ বিবেচিত হওয়ায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বাতিল করা দেয়। তৃতীয়বার দরপত্র আহ্বানের পর কমিটি ২১ অক্টোবর দরপত্র উন্মুক্ত করলে একটি দরপত্র পাওয়া যায়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-১৬ (৫ক) অনুযায়ী প্রতি কেজি চিনির দাফতরিক প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩.৮৭ টাকা।
সূত্র জানায়, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা গত ২২ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক রেসপনসিভ সিটি সুগার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি. টিসিবির গুদামে পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি ১২০.৯০ টাকা উল্লেখ করে। সে হিসেবে ৫ হাজার মে. টন চিনি কিনতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ হাজার টাকা। ৫০ কেজির বস্তায় সংস্থাটি ৫ হাজার মে. টন চিনি সরবরাহ করবে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে। প্রতি কেজি চিনির দাফতরিক মূল্য ১২৩.৮৭ টাকা সে হিসেবে রেসপনসিভ দরদাতা ১২০.৯০ টাকা উল্লেখ করায় দাফতরিক মূল্যের চেয়ে ২.৯৭ টাকা কমে এই চিনি পাওয়া যাবে বলে মূল্যায়ন কমিটি তাদের মতামত দিয়েছে।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির আজকের (বুধবার) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।