০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

বঞ্চিত চিকিৎসকদের পদোন্নতি অনুমোদন

-

বঞ্চনার কিছুটা অবসান ঘটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল শনিবার শতাধিক চিকিৎসককে পদোন্নতির অনুমোদন দিয়ে এ বঞ্চনার অবসান ঘটানো হয়েছে। তবে কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনও পদোন্নতি দেয়নি। যারা গতকাল পদোন্নতির অনুমোদন পাননি তারা বলছেন, পদোন্নতি পাওয়াটা তাদের ন্যায্য পাওনা, আইনের মারপ্যাঁচে বর্তমান প্রশাসনও তাদের বঞ্চিত করেছে। গতকাল মেডিক্যাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনের প্রথম সিন্ডিকেট সভা ছিল। সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠিত এ সভা সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে। উল্লেখ্য, আওয়ামী আমলের শেষ ভিসি অধ্যাপক দীন মুহাম্মদ নুরুল হক ৫ আগস্টের পর পদোন্নতি বঞ্চিতদের ন্যায্য পদোন্নতিতে স্বাক্ষর করে যান। গতকাল সেই পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, গতকাল দুইটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। একটি নিয়মিত সভা এবং অন্যটি জরুরি সভা। নিয়মিত সভায় আগের প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে, যেহেতু একই সভায় যে সিদ্ধান্ত হয় সেই আলোকে একই দিন নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সে কারণে নিয়মিত সভা শেষ করে কিছুটা বিরতি দিয়ে একটি জরুরি সভার আহ্বান করা হয়। সেই জরুরি সভায় বিপুলসংখ্যক স্ববেতনের সহকারী অধ্যাপককে নিয়মিত করা হয়। উল্লেখ্য, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ দিকে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ তাহিরের প্রশাসন শতাধিক স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মেডিক্যাল অফিসারকে স্ববেতনে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের প্রশাসন সিন্ডিকেট সভায় ‘স্ববেতনে যেসব মেডিক্যাল অফিসারকে সহকারী অধ্যাপক করা হয়েছে, তাদের আর পদোন্নতি দেয়া হবে না’ মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সিন্ডিকেট সভায়। সেই সিদ্ধান্তটি গতকালকের সিন্ডিকেট সভায় প্রথমে বাতিল করা হয়, এরপর জরুরি সভা সিন্ডিকেট সভা ডেকে তাদের পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

একই সিন্ডিকেট সভায় কমপক্ষে দু’জন সহকারী অধ্যাপককে নিয়মিত করা হয়নি। সিন্ডিকেটের একজন সদস্য অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের দু’জনের ব্যাপারে সিন্ডিকেট সদস্যদের অনেকের আন্তরিকতা ছিল; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি তা অনুমোদন করে না। তাদের দু’জন ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী সহবেতনে সহকারী অধ্যাপক। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী এই দু’জনকে অধ্যাপক মো: এম এ হাদীর প্রশাসন স্ববেতনে সহকারী অধ্যাপক করে গিয়েছিলেন। তবে তখন শর্ত দেয়া, হয় চিকিৎসায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (এমডি/এমএস/এমফিল) করে না এলে তাদের আর কোনো পদোন্নতি দেয়া হবে না।
গতকালকের সিন্ডিকেট সভায় এমসিপিএস ডিগ্রিধারী ফ্যামিলি মেডিসিনের একজন চিকিৎসককে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতির অনুমোদন দেয়া হয়নি। জানা গেছে, তার ওই এমসিপিএস ডিগ্রিটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক স্বীকৃত নয়।


আরো সংবাদ



premium cement