সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে : সালাহউদ্দীন আহমেদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৮
দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, সংবিধানের সঙ্কট যদি হয়, রাষ্ট্রীয় সঙ্কট যদি হয়, রাজনৈতিক সঙ্কট যদি হয়, সেই সঙ্কটের পিছে কী শক্তি আছে সেটা আমাদের আগেই এনালাইসিস করতে হবে। বিপ্লবের পরে বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যায় নাকি সেটা চিন্তা করতে হবে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সঙ্কট যাতে সৃষ্টি না হয়, সাংবিধানিক সঙ্কট যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই সঙ্কট সামনে রেখে পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী সম্মানিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। আমাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ জনতার দাবি। সিদ্ধান্ত সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে, সবাই গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা জনতার দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলি করে ছাত্র মারার পর আওয়ামী লীগ আবার এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে কি না তা জনতার আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। ট্রাইব্যুনালে একটা সংশোধনী আনার কথা শুনছি। সংগঠন হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি গণহত্যার সাথে জড়িত হয় তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও দলের বিচার হবে। সেই সংশোধনী যদি আইনে আনে এবং ট্রাইব্যুনালে যদি বিচার হয় সেই বিচারের ফলাফল কী হয় তখন দেখা যাবে। আমরা এখন কোনো ফয়সালা দিতে চাই না। গণহত্যাকারী কোনো দল বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবে কি না তা আদালত ও দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রশাসনিক আদেশে বা আমি-আপনি চাইলে কেউ নিষিদ্ধ হোক সেই দায়িত্ব আমরা নিতে চাই না। দেশের জনগণ যদি চায় তাহলে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নেবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা