২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

-

দৈনিক নয়া দিগন্তে গত ২৪ অক্টোবর ‘সমুদ্র গবেষণায় সামরিক কর্মকর্তা নিয়োগে উদ্বেগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিয়োগসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিকালীন বৈষম্য ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা উল্লেখপূর্বক একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং শান্তিপূর্ণ কিছু কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরবর্তীতে কর্মসূচি চলাকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দাবির বিষয়ে আলোচনা করে। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে, যে আশঙ্কায় ও চাকরিকালীন বৈষম্যের জন্য আন্দোলন করা হয়েছে, সে আশঙ্কা দূরীকরণ ও বৈষম্যের সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে দাবিগুলো মেনে নেয়া হবে মর্মে জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতায় যেন কোনো প্রভাব না পড়ে, সে পরিপ্রেক্ষিতে দেশে সমুদ্রবিষয়ক একমাত্র জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক ও গবেষণার ভাবমূর্তি বজায় রাখার কথা নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কর্তৃক ঘোষণা করা হয় এবং সরকারি নিয়মমাফিক চাকরিসংক্রান্ত সব বৈষম্য দূর করার আশ্বাস প্রদান করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের সব বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আনন্দের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে গ্রহণ করেন। বিধায় প্রকাশিত সংবাদে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে পদায়নের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে উদ্বেগ দেখানো হয়েছে তা বাস্তবতা বর্জিত।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে যে ব্যক্তিকে পদায়ন করা হয়েছে, সমুদ্র গবেষণায় তার বিচরণ বহুমাত্রিক। তার অভিজ্ঞতার বেশির ভাগ সময়কাল সমুদ্রভিত্তিক গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত ছিল। সর্বশেষ চাকরি স্থানেও তিনি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ওশান সাইন্স ফ্যাকাল্টির ডিন হিসেবে এবং ইনস্টিটিউট অব বে অব বেঙ্গল অ্যান্ড বাংলাদেশ স্ট্যাডিজের পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিনি হাইড্রোগ্রাফি, ওশানোগ্রাফি এবং সামুদ্রিক পরিবেশবিষয়ক অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের সমুদ্রবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন মেরিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (এমজেএন), দেশের সমুদ্র বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণার উন্নয়ন এবং সুনীল অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক এই প্রথম কোনো ওশানোগ্রাফি ও হাইড্রোগাফিতে অভিজ্ঞ ও সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিত্ব পদায়ন করায় ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যৎ গুণগত পরিবর্তনসহ কাক্সিক্ষত সফলতা আসবে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement