চবি শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগের হামলা, আহত ৫
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল ভোর থেকে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়ায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মধ্যরাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে থাকা একটি দোকান দখলের উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারীরা উপস্থিত হয়। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এর ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে রেলক্রসিংয়ের দিকে গেলে পুনরায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা পুলিশের যথাযথ সহযোগিতা পাইনি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোনায়েম শরীফ জানান, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে যুবলীগ নেতা হানিফ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকান ভাড়া আদায় করছে। তার ছোট ভাই মো: ইকবাল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ডিস ও ব্রডব্যান্ড ব্যবসা পরিচালনা করছে। গত ৫ আগস্টও রেলক্রসিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল তারা।’
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সহযোগিতার অভাবের অভিযোগ করলেও তা সঠিক নয়। আমরা ৬টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়েছি এবং ৬টা ২৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত স্থানীয়দের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।